পাতা:নব্য-ন্যায় (ব্যপ্তি-পঞ্চক) - রাজেন্দ্রনাথ ঘোষ.pdf/২০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

e 히 1 V2Y এই সংযোগ-সম্বন্ধে ধূম কখন জলাহ্রদে থাকে না। সুতরাং, হেতুতাবাচ্ছেদক সম্বন্ধাবচ্ছিন্ন বৃত্তিতা ধরিলে সাধ্যাভাবাধিকারণ-জলহৃদ-নিরূপিত আধেয়তার অভাব পাওয়া যাইবে, এবং তাহার ফলে লক্ষণ যাইবে, অর্থাৎ অব্যাপ্তি নিবারিত হইবে । এখন জিজ্ঞাস্ত হইতেছে, টীকাকার মহাশয় এই অব্যাপ্তিটা বুঝাইবার জন্য দুইটী “প্ৰকার” প্ৰদৰ্শন করিলেন কেন ? প্ৰথম প্রকারেই ত উদ্দেশ্য সিদ্ধ হইতেছে । এতদুত্তরে বলা হয় যে-না, তাহা নহে। ইহার উদ্দেশ্য এই যে, প্ৰথম প্রকারে “বহ্নিমান ধূমাৎ” স্থলের যে প্ৰসিদ্ধ বিপক্ষ স্থল-জলকুন্দাদি, তাহ ধরিয়া অব্যাপ্তি দেওয়া হয় নাই। এজন্য দ্বিতীয় প্রকারে সেই প্ৰসিদ্ধ বিপক্ষ স্থল জলকুন্দাদি ধরিয়া অব্যাপ্তি প্ৰদৰ্শন করা চইল, এই মাত্র বিশেষ। দৃষ্টান্তের প্রসিদ্ধাংশ পরিত্যাগ করা দোষ। যাহা হউক, এতদুরে এই বৃত্তিতাটী যে, কোন সম্বন্ধবিচ্ছিন্ন তাহ বলা শেষ হইল, কিন্তু ইহা যে, কোন ধৰ্ম্মাবচ্ছিন্ন তাহা আর টীকাকার মহাশয় বলিলেন না। কারণ, ইহা যে কোন ধৰ্ম্মাবচ্ছিন্ন তাহ। নির্ণয় করা সম্ভব নহে। যেহেতু, তাহ ভিন্ন ভিন্ন স্থলে ভিন্ন ভিন্ন রূপ হয়, বলিয়া তাহা নির্দেশ করিয়া উঠিতে পারা যায় না। অধিক কি, নির্দেশের কোন প্রয়োজনও হয় না। যাহা হউক, এই “বৃত্ৰিত” পদের রহস্য ও পুৰ্ব্বোক্ত “বৃত্তিতাভাব” পদের রহস্য মধ্যে যেটুকু পার্থক্য আছে, তাহ। লক্ষা করিয়া রাখা উচিত। যেহেতু, এই বিষয়টীি:প্রথম শিক্ষার্থিগণের প্রায়ই ভুল হইয়া থাকে। ফলকথা পুর্বে এই বৃত্তিতানিষ্ঠ প্রতিযোগিতাটী কোন সম্বন্ধ এবং কোন ধৰ্ম্মাবচ্ছিন্ন, তাহা বলা হইয়াছে, এক্ষণে বৃত্তিতাটী কোন সম্বন্ধবিচ্ছিন্ন তাহাঁই বলা হইল। আর যদি এই পার্থক্যটুকু একটা দৃষ্টান্ত সাহায্যে বলিতে হয়, তাহা হইলে বলিতে হইবে—“কৃষ্ণবর্ণের পুস্তকের সামান্যভােব বর্ণনাভিপ্ৰায়ে যদি “পুস্তক-সামান্যাভাব” পদটা প্ৰযুক্ত হয়, তাহা হইলে যেমন স্বতন্ত্র করিয়া আবার বলিতে হয় যে “ঐ পুস্তকগুলি কৃষ্ণবর্ণের”, তদ্রুপ, এখানে বৃত্তিতাভাব পদে বৃত্তিতাসামান্যাভাব বলিয়া আবার বলা হইতেছে যে, উক্ত বৃত্তিতাগুলি হেতুতার অবচ্ছেদক যে সম্বন্ধ, সেই সম্বন্ধদ্বারা অবচ্ছিন্ন বলিয়া বুঝিতে হইবে। ইত্যাদি। যাহা হউক এইবার আমরা এই হেতুতাবচ্ছেদক সম্বন্ধের পর্য্যাপ্তিটা কি, তদ্বিষয়ে আলোচনা করিব ; কারণ, এই সম্বন্ধের পর্য্যাপ্তিটী বুঝিতে পারিলে যাবৎ সম্বন্ধের পর্যাপ্তি বিষয়ে একটা জ্ঞান লাভ করিতে পারা যাইবে, এবং বিষয়টাও যার-পর-নাই প্রয়োজনীয়। ইহার কারণ, এই পৰ্য্যাপ্তি যদি না দেওয়া যায়, তাহা হইলে হেতুতাবচ্ছেদক সম্বন্ধ বলিতে স্থল-বিশেষে যে সম্বন্ধটিকে পাওয়া যাইবে, সেই সম্বন্ধটিকে কমাইয়া বা বাড়াইয়া বৃত্তিতার অবচ্ছেদকরূপে ধরিতে পারা যাইবে। আর তাহা করিলে ব্যাপ্তি-লক্ষণটিতে অব্যাপ্তি দোষ প্ৰবেশ করিবে । টীকাকার মহাশয় এই কথাটী আর বলেন নাই,কিন্তু অধ্যাপক-সমীপে ইহা সকলেই শিক্ষা করেন। যেমন দেখ, দ্রব্যত্বকে সমবায় সম্বন্ধে সাধ্য করিয়া এবং দ্রব্যানুযোগিক সমবায় সম্বন্ধে সত্তাকে