পাতা:নব্য-ন্যায় (ব্যপ্তি-পঞ্চক) - রাজেন্দ্রনাথ ঘোষ.pdf/২১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম লক্ষণ । ዓፋ কিন্তু, যাহারা “স্বাভাবিবত্তাদি” গঠিত-সম্বন্ধের সংসৰ্গত স্বীকার করেন, তাহাদের এরূপ স্থলেও লক্ষণ যাইবে না ; এবং তজ্জন্ত “ন ক্ষতিঃ” পদের অর্থ ‘অসম্ভব” দোষ। কারণ, স্বাভাবিবত্তা সম্বন্ধের অর্থ-যে সম্বন্ধে কোন কিছু, কোন কিছুতে থাকে না, সেই “না থাকা৷” সম্বন্ধ। এই “না থাকা” সম্বন্ধে ঘটত্ব, গগনে থাকিতে পরিবে ; যেহেতু, ঘটত্ব গগনে থাকে না । সুতরাং, হেতু ঘটত্বে সাধ্যাভাবাধিকরণ-গগন-নিরূপিত বৃত্তিতার অভাব পাওয়া যাইবে না, অর্থাৎ লক্ষণ যাইবে না । সুতরাং, এইরূপ সম্বন্ধ ধরিলে কোন লক্ষ্যেই লক্ষণ যাইল না, অর্থাৎ লুক্ষণের অসম্ভব দোষ ঘটিল। যাহা হউক, “ন ক্ষতিঃ” বলিয়া টীকাকার মহাশয় বিদ্যার্থকে এই সব কথা অধ্যাপকসমীপে শিক্ষা করিতে ইঙ্গিত করিলেনইহাই বুঝা যাইতেছে। অতঃপর দ্বিতীয় জিজ্ঞাস্ত এই যে, বৃত্তিতাভাব মধ্যে সামান্যাভাব নিবেশকালে, আমরা দেখিয়াছি, সামান্যাভাবেরও নুনতাধিক্য সম্ভাবনা থাকে, এবং তজ্জন্য যে কৌশল অবলম্বন করিয়া সেই নূ্যনতাধিক্য নিবারণ করা হয়, তাহাকে পৰ্য্যাপ্তি আখ্যায় অভিহিত করা হইয়াছে। এখানেও আবার যে সম্বন্ধাবচ্ছিন্ন বৃত্তিত ধরিতে হইবে বলা হইল, তাহারও নুনতাধিক্যসম্ভাবনা থাকে, এবং তজ্জন্য যে কৌশল অবলম্বন করিয়া সেই নুনতাধিক্য নিবারণ করা হইল, তাহাকেও পৰ্য্যাপ্তি আখ্যায় অভিহিত করা হইল। অথচ, সামান্যাভাব-নিবেশ-স্থলে পৰ্য্যাপ্তি নামক কোন সম্বন্ধের ব্যবহার ঘটে নাই, কিন্তু এস্থলে তাহার ব্যবহার দৃষ্ট হইতেছে। সুতরাং, প্রশ্ন হইতে পারে সামান্যাভাব-নিবেশকালে উক্ত পৰ্য্যাপ্তিকে পৰ্য্যাপ্তিপদে অভিহিত করা হয় কেন ? এতদুত্তরে বলা যায় যে, পৰ্য্যাপ্তি সম্বন্ধের ব্যবহার ঘটিলেই যে কৌশলবিশেষকে_পর্যাপ্তি খ্যায় অভিহিত করিতে হইবে, এমন কোন নিয়ম নাই। কোন কিছুর কোন প্ৰকার SLLLLLLLL LLLLLLKS LLLLLL S LL S LL LLL LLLL LLLS নৃত্যুনতাধিক্য সম্ভাবনা নিবারণ করিয়া ঠিক ঠিক ভাবে বলিবার যে কৌশল অবলম্বন করা হয়, তাহাই পৰ্য্যাপ্তিপদবাচ্য হইতে পরিবে। দেখ, পৰ্য্যাপ্তি শব্দের অর্থও তাঁহাই। কারণ, ‘পরিপূর্বক আপ ধাতু ‘ক্তি’ প্ৰত্যয় করিয়া পৰ্য্যাপ্তি পদ সিদ্ধ হয়। আপ ধাতুর অর্থ-পাওয়া, ইহা উপসর্গ যোগে বুঝায়-“ঠিক ঠিক রূপে পাওয়া” বা ‘সম্পূর্ণরূপে পাওয়া”। পৰ্য্যাপ্তি শব্দের এই অর্থ লইয়া ইহাকে যখন পারিভাষিক শব্দরূপে ব্যবহার করা হয়, তখন ইহা সম্বন্ধ-বিশেষকে বুঝায়। এই সম্বন্ধবলে কোন কিছু কোন কিছুর উপর সংখ্যাবচ্ছেদে থাকে বলা হয়। পরিশেষে তৃতীয় জিজ্ঞাস্ত এই যে, ইতিপূৰ্ব্বে বলা হইয়াছে যে, ব্যাপ্তি-লক্ষণের শেষত্ব অবৃত্তিত্ব পদের “বৃত্তিত্বসামান্তাভাবরূপ” অর্থ স্থিরীকৃত না হইলে উহার আদিস্থিত ‘সাধ্যাভাব।” পদের প্রকৃত অর্থের ব্যাবৃত্তি সংলগ্ন হয় না। একথা যদি সত্য হয়, তাহা হইলে এক্ষণে বৃত্তিতাবচ্ছেদক-সম্বন্ধের বর্ণনে আবার প্রবৃত্ত হওয়া কেন ? একেবারে আদিস্থিত পদ “সাধ্যাভাব” পদের প্রকৃতাৰ্থ বর্ণন কয়াই তা উচিত ছিল ? '