পাতা:নব্য-ন্যায় (ব্যপ্তি-পঞ্চক) - রাজেন্দ্রনাথ ঘোষ.pdf/৩৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S8 e ব্যাপ্তি-পঞ্চক-রহস্যম। কারণ, গগনকে এখানে সমবায়-সম্বন্ধে হেতু ধরা হইয়াছে। সুতরাং, এই বৃত্তিত থাকে, জলহ্রদাদিতে সমবায় সম্বন্ধে থাকে যে সব পদার্থ, তাহাদের উপর। অর্থাৎ, গুণ, সত্তা প্ৰভৃতির উপর। উক্ত বৃত্তিতার অভাব। — উক্ত জলাহ্রদদি-নিরূপিত, সমবায়-সম্বন্ধাবচ্ছিন্ন বৃত্তিতার অভাব। ইহা থাকে জলাহ্রদাদিতে সমবায়-সম্বন্ধে যাহা থাকে না, তাহার উপর। সুতরাং, ইহা গগনের উপরও থাকিতে পরিবে । কারণ, গগন সমবায়-সম্বন্ধে কোথাও থাকে না,ইহা ঐ সম্বন্ধে সর্ববাদি-সম্মত আবৃত্তি-পদার্থ। ওদিকে, এই গগনই হেতু ; সুতরাং, হেতুতে সাধ্যাভাবাধিকরণ-নিরূপিত বৃত্তিত্বাভাবি পাওয়া গেলা-লক্ষণ যাই’ল— অর্থাৎ ব্যাপ্তি-লক্ষণের অতি ব্যাপ্তি-দোষ ঘটিল। কিন্তু, এই অতিব্যাপ্তি-দোষীটী ঘটতে গেলে ইহা অসদ্ধেতুক-অনুমিতি স্থল হওয়া আবশ্যক। কারণ, ইতিপূর্বে যাহা বলা হইয়াছে, তাহাতে দেখা গিয়াছে, “যেটা সদ্ধেতু তাহাতে লক্ষণ যায়, অর্থাৎ তাহা ব্যাপ্তি-লক্ষণের লক্ষ্য ; যেটা অসদ্ধেতু তাহা অলক্ষ্য, তাহাতে লক্ষণ DD uDS DDDB DB BB DBB DDS BDD BB BBDBDD DDBD S BDBzK K DDDB BBDgSgBB DDuS BDL S DBDJBDS Ltg BDB DDBBDBSkDD S DBBBD KBDBLiiS Lg BDBDB অসদ্ধেতুক-অনুমিতির স্থল কিসে ? দেখ, এখানে “হেতু” গগনটী সমবায়-সম্বন্ধে কোথাও থাকে না, এ জন্য “ইন্দং”-পদবাচ্য “পক্ষে”ও থাকে না। আর “পক্ষে” হেতুটী না থাকায় ইহা ‘নয়।” প্রকার হেত্বাভাসের মধ্যে “স্বরূপাসিদ্ধি” নামক একটি দোষে দুষিত বলিয়া বিবেচিত হয়। যেমন “হ্রদো দ্রব্যং ধূমাৎ” বলিলে দোষ হয়, এস্থলেও তদ্রুপ । বস্তুতঃ, হেত্বা ভাস-দোষদুষ্ট অনুমিতিকেই অসদ্ধৌতুকঅনুমিতি বলা হয়, এবং, নির্দোষ-হেতুক অনুমিতিকেই সদ্ধেতুক অনুমিতি স্থল বলা হয়। সুতরাং, ইহাও যে অসদ্ধোতুক অনুমিতির স্থল তাহাতে আর সন্দেহ কি ? অবশ্য, ইতিপূর্বে, যাহাকে আমরা অসদ্ধেতুক-অনুমিতি-স্থল বলিয়া আসিয়াছি, তাহা কথঞ্চিৎ অন্যরূপ ছিল। সেখানে আমরা হেত্বাভাসের অন্তর্গত “সাধারণ অনৈকান্ত” অর্থাৎ “ব্যভিচার” নামক দোষদুষ্ট-হেতুক অনুমিতিকেই অসদ্ধেতুক-অনুমিতি বলিয়া আসিয়াছি। অর্থাৎ ‘হেতু যেখানে যেখানে থাকে, “সাধ্য’ সেই সেই স্থানে না থাকিলেই আমরা তাহাকে অসদ্ধেতুিক অনুমিতির স্থল বলিয়া গণ্য করিয়াছি ; হেতুটী, সে স্থলে অন্যরূপ কোন হেত্বাভাসদুষ্ট হইল কি না, তাহার প্রতি দৃষ্টি করি নাই। কিন্তু, তাম্বা হইলেও এস্থলটা যে অসদ্ধেতুিক অনুমিতি-স্থল, তাহাতে কোন বাধাই ঘটিতে পারে না। যাহা হউক, দেখা গেল, এস্থলে এই অনুমানটী ব্যভিচার-দোষ দুষ্ট না হইলেও স্বরূপসিদ্ধি-দোষ-দুষ্ট হওয়ায় দুষ্টহেতুক বা অসদ্ধৌতুক অনুমিতিই হইল ; এবং হেতুতাবিচ্ছেদকসত্বন্ধে সাধ্যাভাবাধিকরণ-নিরূপিতা-বৃত্তিতা ধরায় ব্যাপ্তি-লক্ষণটা এই অসদ্ধেতুকে অনুমিতিস্থলে প্ৰযুক্ত হইতে পারিল অর্থাৎ অতিব্যাপ্তি-দোষ-দুষ্টই হইল, আর তাহার ফলে “হেতু