পাতা:নব্য-ন্যায় (ব্যপ্তি-পঞ্চক) - রাজেন্দ্রনাথ ঘোষ.pdf/৪৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

voSS बाjि-°र्थक-ब्राइन्छन् । দ্বিতীয়-লক্ষণের আবশ্যকতা বিবেচনা করিয়াছেন, এবং সেই জন্যই গ্ৰন্থকার মহামতি গঙ্গেশও উহা নিজ গ্ৰন্থ-মধ্যে যথাযথ-ভাবে গ্রথিত করিয়াছেন । যদি বলা হয়, নিরবচ্ছিন্নত্ব দুৰ্বচ অর্থাৎ দুর্নির্ণেয় কিসে ? ? তাহার উত্তর এই যে, নিরবচ্ছিন্নত্ব অর্থ কিঞ্চিদধৰ্ম্মানবচ্ছিন্নত্ব ; অর্থাৎ কোন ধৰ্ম্ম দ্বারা অবচ্ছিন্ন না হওয়ার ভাব। সুতরাং, এখন জিজ্ঞাস্য হইবে, এই কিঞ্চিদধৰ্ম্ম-পদে কি বুঝিতে হইবে ? বস্তুতঃ, এই ‘কিঞ্চিদধৰ্ম্ম’ বলিতে যে কি বুঝায়, তাহা নির্ণয় করা যায় না ; যেহেতু, পদার্থভেদে, স্থল-বিশেষে এই “কিঞ্চিদধৰ্ম্ম৷” “একটী কিছু হয় না, পরন্তু বিভিন্ন স্থলে বিভিন্ন হইয়া থাকে ; সুতরাং, ইহা যে কি, তাহা আর নাম করিয়া বলিতে পারা গেল না । ड4त्र, বলিতে হয়-নিরবচ্ছিন্নত্ব-পদার্থটি দুৰ্ব্বাচ অর্থাৎ দুনিৰ্ণেয় । যাহা হউক, এই পৰ্যন্ত হইল টীকা-মধ্যস্থ “লক্ষণান্তরমহ” হইতে “ইতি প্ৰাঞ্চঃ” পৰ্য্যন্ত লাক্যাবলীর অর্থ। এইবার দেখা যাউক, অবশিষ্ট বাক্যে টীকাকার মহাশয় কি বলিতেছেন ? 25 4 cਵP ;- এইবার টীকাকার মহাশয় উক্ত প্ৰাচীন মতের সমাসার্থে দোষারোপ করিতেছেন। তিনি বলিতেছেন, ওরূপ অর্থ ঠিক নহে। কারণ, দ্বিতীয়-লক্ষণটাতে ওরূপ করিয়া কৰ্ম্মধারয় সমাস করিলে লক্ষণ-মধ্যস্থ “সাধ্যাভাবিদ্যুৎ” পদটী নিরর্থক হয়। কারণ, “সাধ্যবৰ্দভিন্ন” পদের সহিত “সাধ্যাভাববৎ” পদের অভেদ-সম্বন্ধে অন্বয় করিয়া “সাধ্যবাদভিন্ন-সাধ্যাভাবিবৎ” এইরূপ কৰ্ম্মধারয় সমাস করিয়া ইহার সহিত পুনশ্চ “অকৃত্তিত্ব” পদের পূর্ববৎ ত্ৰিপদব্যধিকরুণ বহুব্রীহি সমাস (৩৮ পৃষ্ঠা ) করিয়া সাধ্যবাদভিন্ন-সাধ্যাভাববাদকৃত্তিত্বমূ-পদ সিদ্ধ করিলে যে কাৰ্য্য সিদ্ধ হয়, “সাধ্যবাদভিন্ন” পদের সহিত “আবৃত্তিত্বম” পদের সেই ত্ৰিপাদবাধিকরণ বহুব্রীহি সমাস করিয়া “সাধ্যবাদভিন্নাবৃত্তিত্বম’ পদ সিদ্ধ করিলেও সেই কাৰ্য্য সিদ্ধ হয়, অথচ “সাধ্যবাদভিন্ন” পদের সহিত “সাধ্যাভালবৎ’ পদের যে ‘অভেদ-সম্বন্ধে অন্বয়, তাহ অক্ষুন্ন থাকে। কারণ, “সাধ্যবাদভিন্ন” বলিলে যাহা বুঝায়, তাহাতে “সাধ্যাভাবালৎ’কেও তন্মধ্যে ধরিতে পারা যায়, এবং তাহারা তখন অভেদ-সম্বন্ধেই অন্বিতও থাকে । “সাধ্যবাদ-ভিন্নসাধ্যাভাববৎ’ বলিলে প্ৰকৃতপক্ষে ‘সাধ্যবাদভিন্ন”কে ‘সাধ্যাভাবিদ্যুৎ” রূপে বিশেষভাবে নির্দেশ করা হয় মাত্র ; এবং তাহারা তখন অভেদ-সম্বন্ধেই অন্বিতও থাকে ; এবং “যেখানে সামান্তভাবে নির্দেশ করা সম্ভব হয়, সেখানে অন্বয় অপরিবৰ্ত্তিত রাখিয়াও বিশেষভাবে নির্দেশ করিবার কোন প্ৰয়োজন না দেখাইতে পারিলে উক্ত বিশেষভাবে নির্দেশের বৈয়র্থ্যপত্তি ঘটে” এইরূপ নিয়ম থাকায়, এস্থলে বিশেষভাবে নির্দেশের কারণ যে ‘‘সাধ্যাভাববৎ” পদটী, তাহারও বৈয়র্থ্যপত্তি ঘটিল। অতএব প্ৰাচীনমতে দ্বিতীয়-লক্ষণের যে সমাসাৰ্থ নিৰ্দ্ধারণ করা হইয়াছে, তাহা ঠিক নহে। টীকাকার মহাশয়, এইরূপে প্ৰাচীন মতের সমাসার্থে দোষারোপ করিয়া পরবৰ্ত্তি-প্রসঙ্গে ইহার নব্যমতে সমাসাৰ্থ নিৰ্দ্ধারণ করিতেছেন । কিন্তু, এই প্ৰসাদটী শেষ করিবার পূর্বে এস্থলে এই বৈয়ার্থ সম্বন্ধে দুই একটী কথা জানা