পাতা:নব্য-ন্যায় (ব্যপ্তি-পঞ্চক) - রাজেন্দ্রনাথ ঘোষ.pdf/৪৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

f | SG "নব্যমতের সমাজার্থে আপেক্তি ও জলাধ্যাভাবিবৎ-পদের প্রয়োতদনীন্মত।” টীকামুলম্। | ।। न 5 उशांत्रि जांथावडिमांडूखिशभ আর তাহা হইলেও “সাধ্যবাদভিন্নাবৃত্তি—ইতি এব। অস্তু, কিং সাধ্যাভাববৎ ইত্য স্বাম” এইরূপই লক্ষণাটী হউক না কেন ? নেন ?-ইতি বাচ্যম। যথোক্ত-লক্ষণে “সাধ্যাভাববৎ” পদের আবশ্যকতা কি ?-- তস্য অপ্রবেশেন বৈয়ার্থাভাবাৎ, তস্য এরূপ বুলিতে পােশ " । কারণ "স"ৰতি" ক্ত যে সাধ্যাভাব, তদবিদ অ-বৃত্তিত্বম” এই অপি লক্ষণান্তরীত্বাৎ । বৃদ্ধি লক্ষণে সাধ্যবাদভিন্ন পদার্থের সহিত বৃত্তিত্বভাবের অন্বয় নাই বলিয়া বৈয়র্থ্যপত্তি হয় না । আর যদি বল, অম্বয় নাই থাকিল, অর্থাৎ ওরাপ লক্ষণ করিলে দোষ কি ? তাহার উত্তর এই যে, সেরূপ ত একটি পৃথক লক্ষণই আছে । ব্যাখ্যা - এইবার টীকাকার মহাশয়, প্ৰাচীন মতের সমাসার্থে উত্থাপিত আপত্তি যে নব্যমতের সমাসার্থে উঠিতে পারে না, তাহাঁই প্ৰদৰ্শন করিতেছেন। কিন্তু, এই আপত্তি ও উত্তরটা বুঝিতে হইলে প্রথমতঃ; প্ৰাচীন মতের সমাসার্থে কি আপত্তি হইয়াছিল, তাহা স্মরণ করিতে হইবে, তৎপরে নব্যমতে এই আপত্তিটা কি করিয়া হয় না, এবং তাহার উত্তরই বা কি, তাহা বুঝিতে হইবে। নিয়ে এই সব কথা স্মরণ করিয়া আমরা এই আপত্তি ও তাহার উত্তরটা একটু সংক্ষেপে লিপিবদ্ধ করিলাম। আপত্তিটা এই -ਈ ਹੈ মতে যদি “সাধ্যবাদভিন্নের” সহিত “সাধ্যাভাববৎ’ পদের কৰ্ম্মধারয় সমাস করিয়া (অর্থাৎ উক্ত পদাৰ্থদ্বরকে অভেদ-সম্বন্ধে অম্বিত করিয়া) সেই সাধ্যাভাবিবতের সহিত “বৃত্তিতা” পদার্থের অন্বয় করায় প্ৰকৃত-প্ৰস্তাবে “সাধ্যবাদুভিল্পের সহিত “বৃত্তিতার”ই অন্বয় হয়, যেহেতু অভেদ-সম্বন্ধে অন্বয়ের ফলে তাহারা অভিন্ন পদার্থই হয়, আর তজ্জন্য ফলতঃ কোন প্ৰভেদ হয় না বলিয়া “সাধ্যাভাববৎ” পাদর বৈয়ার্থ ঘটে, তাহা হইলে নব্য মতে “সাধ্যবাদভিন্নের” সহিত “সাধ্যাভাব” পদের সপ্তমী তংপুরুষ সমাস করিয়া অর্থাৎ তাহাদিগকে আধেয়তা-সম্বন্ধে অন্বয় করিয়া “সাধ্যবাদভিন্ন-সাধ্যাভাব” পদটী সিদ্ধ বরিয়া, সেই “সাধ্যবাদভিন্ন-সাধ্যাভাব” পদের উত্তর বতুপ প্ৰত্যয় করিয়া “সাধ্যবাদভিন্নসাধ্যাভাববৎ” পদ সিদ্ধ করিয়া সেই “সাধ্যবাদভিন্ন সাধ্যাভাববৎ” পদের সহিত নিরূপিতত্ত্বসম্বন্ধে বৃত্তিতা-পদার্থের অন্বয় করিলেও ( এই পৰ্য্যন্ত “তথাপি” পদের অর্থ) এই লক্ষণাটী ‘সাধ্যবাদভিন্নাবৃত্তিত্বম" এইটুকু মাত্রই থাকুক না কেন ? অর্থাৎ, সাধ্যবাদভিন্নে বৃত্তি যে, তন্নিরূপিত বৃত্তিত্বাভাবই ব্যাপ্তি-এইরূপ কেন হউক না ? “সাধ্যাভাববৎ’ পদের আর প্রয়োজন কি ? কারণ, তাহা হইলে ত লক্ষণাটী লঘুই হইবে ; এবং এই লঘু লক্ষণ দ্বারাই এই দ্বিতীয়-লক্ষণের যে প্রয়োজন, তাহা সুসিদ্ধ হয় । .