পাতা:নব্য-ন্যায় (ব্যপ্তি-পঞ্চক) - রাজেন্দ্রনাথ ঘোষ.pdf/৪৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SORb jांॐि-° क-ब्रह्रयन् । আর যদি বল, কি করিয়া উক্ত লঘু লক্ষণ দ্বারা দ্বিতীয়-লক্ষণের প্রয়োজন সিদ্ধ হয়, তাহা হইলে দেখ, সেই অব্যাপ্য-বৃত্তি-সাধ্যক-সদ্ধেতুক-অনুমিতি— “অবয়ৎ) সনৎ খেযাগী দ্রব্যক্ৰাৎ* স্থলে উক্ত “সাধ্যবাদভিন্নাবৃত্তিত্বম”-এই লঘু লক্ষণের অব্যাপ্তি হয় না। কারণ, गांश = ज३gश5 । সাধ্যাবৎ = সংযোগবৎ অর্থাৎ দ্রব্যাদি । সাধ্যবাদভিন্ন = দ্রব্যাদি ভিন্ন, যথা-গুণকৰ্ম্মাদি পদার্থনিচয় । তিনিরূপিত বৃত্তিত = গুণকৰ্ম্মাদি-নিরূপিত বৃত্তিতা । উক্ত বৃত্তিতার অভাব। — ইহা থাকে দ্রব্যত্বে। কারণ, দ্রব্যত্ব গুণাদিতে থাকে না । ওদিকে, এই দ্রব্যত্বই হেতু ; সুতরাং, হেতুতে “সাধ্যবাদভিন্নাবৃত্তিত্বমূ’-ৰূপ লঘু লক্ষণাটী পাওয়া গেল, অব্যাপ্তি-দোষ হইল না । অতএব বলিতে হইবে, ‘সাধ্যবিন্দুভিন্নাবৃত্তিত্বম” এই লঘু লক্ষণের দ্বারাই দ্বিতীয়-লক্ষণের প্ৰয়োজন সুসিদ্ধ হয়, “সাধ্যাভাবিবৎ” পদটী গ্ৰহণ করিয়া “সাধ্যবাদভিন্নসাধ্যাভাববাদ বৃত্তিত্বম” এরূপ গুরু। লক্ষণের আর আবশ্যকতা কি ? ( ইহাই হইল “ন চ তথাপি” হইতে “ব্যাচ্যম” পৰ্য্যন্ত বাক্যের অর্থ, এবং ইহাই হইল। উক্ত আপত্তি ) ৷ এখন এতদুত্তরে টীকাকার মহাশয় বলিতেছেন যে, না, তাহা হইতে পারে না ; কারণ, (“যথোক্ত-লক্ষণে” = ) নব্যমতের সমাস-নিম্পন্ন “সাধ্যবাদভিন্ন-সাধ্যাভাববাদ বৃত্তিৰম” লক্ষণে অর্থাৎ “সাধ্যবাদভিন্নে বৃত্তি যে সাধ্যাভাব, তদধিকরণ-নিরূপিত বৃত্তিতার অভাবই ব্যাপ্তি” এই লক্ষণে ( “তম্ভ” == ) সাধ্যবিন্দুভিন্নের ( “অপ্ৰবেশেন” = ) বৃত্তিতার সহিত অন্বয় নাই বলিয়া ( “বৈয়ার্থাভাবাৎ”= ) বৈয়র্থ্যপত্তি হয় না । দেখ, প্ৰাচীনমতে যখন বৈয়র্থ্যপত্তি দেখান হয়, তখন যেমন অন্বয়-বিপৰ্য্যয় না করিয়াই তাহা দেখান তইয়া থাকে, এখন আর সেরূপ করিয়া দেখান যার না। অর্থাৎ প্ৰাচীনমতে বৈয়র্থ্যপত্তি প্ৰনৰ্শন-কালে “সাধ্যবাদভিন্নের” সহিত “বৃত্তিতার” যেরূপ অন্বয় থাকে, “সাধ্যাভাববৎ” পদ তুলিয়া লইলেও তাহদের সেই অন্বয়ই থাকে। এখন, কিন্তু নব্যমতে “সাধ্যবাদভিন্নের” সহিত “বৃত্তিতার” অন্বয় প্ৰকৃত-পক্ষেই নাই, পরন্তু “সাধ্যাভাবের” অন্বয় থাকায় “সাধ্যাভাববৎ” পদটী তুলিয়া লইলে “সাধ্যবাদভিন্নের” সহিত “বৃত্তিতার” অম্বর নূতন করিয়া করিতে হয়, অর্থাৎ অন্বয়-বিপৰ্য্যয়ই ঘটে। সুতরাং, নব্যমতের সমাসার্থে প্ৰাচীনমতের ন্যায় অন্বয়-বিপৰ্য্যয় না করিয়া সাধ্যাভাববৎ-পদের বৈয়ার্থ্য দেখান গেল না, আর তাহার ফলে যে বৈয়র্থ্যের আশংকা করা হয়, তাহা প্ৰকৃত বৈয়ার্থই হইল না । বাস্তবিক, কোন বাক্যে কোন পদের বৈয়ার্থ দেখাইতে হইলে বৈয়র্থ্য দেখাইবার পুর্বে সেই সব পদার্থের মধ্যে যেরূপ অন্বয় থাকে, বৈয়র্থ্য দেখাইবার পরও সেই সব পদার্থের মধ্যে সেইরূপ অন্বয় রাখা আবশ্যক হয়, নচেৎ সে বৈয়ার্থ্য দেখান অসিদ্ধ হয়এরূপ নিয়মই প্ৰসিদ্ধ আছে। সুতরাং, নবমতে অন্বয়-বিপৰ্য্যয় ঘটায় বৈয়র্থ্য দেখান সিদ্ধ হয় না।