পাতা:নব্য জাপান ও রুষ জাপান যুদ্ধের ইতিহাস - উমাকান্ত হাজারী.pdf/১০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
রুষ ও জাপান যুদ্ধের ইতিহাস।
৮৭

রাজ্য গ্রাস করিয়া বসে, তাহা হইলে কয়েক বৎসরের মধ্যে আমারও স্বাধীনতা-গৌরব বিলুপ্ত হইয়া যাইবে। অদ্য ১৮০০ শত বৎসর ধরিয়া যে কোরিয়ার উপরে আমার অখণ্ড আধিপত্য বিদ্যমান রহিয়াছে, যাহার উপরে জাপানবাসীর জীবন মরণ নির্ভর করিতেছে, সেই কোরিয়া রাজ্য কখনও রুষিয়ার করালগ্রাসে পতিত হইতে দিব না। তাঁহারা স্থির করিলেন, যদি দুরাকাঙ্খ রুষ, ন্যায়, ধর্ম্ম ও যুক্তির মস্তকে পদাঘাত পূর্ব্বক পররাজ্য গ্রাস করিতে প্রবৃত্ত হয়, তাহা হইলে আমরা “নিপনের” আজন্মস্বাধীনতাগৌরব রক্ষার জন্য ঈশ্বরের মহামহিমামণ্ডিত নাম স্মরণ করিয়া ধর্ম্মযুদ্ধে অগ্রসর হইব।

 গত ১৯০৩ অব্দের ২৩শে জুন তারিখে টোকিওর মন্ত্রণামন্দিরে রুষদুত ব্যারণ রােসেনের সহিত জাপানের পররাষ্ট্র সচিব ব্যারণ কমুরা মহাশয়ের প্রবল বাক্‌যুদ্ধ উপস্থিত হয়। সপ্তমাস ব্যাপী তর্ক বিতর্কের পর খ্রীষ্টধর্ম্মপরায়ণ জার মহােদয় প্রকাশ করিলেন যে;মানচুরিয়া সম্বন্ধে আমি জাপানের কোন কথা শুনিব না। কোরিয়ার ১/৩ অংশ নিরপেক্ষ থাকিবে, অবশিষ্টাংশে রুষাধিকার বিস্তৃত হইবে। ২২শে ডিসেম্বর তারিখে জাপান উত্তর দিলেন: না, তাহা হইবে না। রুষকে কোন নির্দ্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মানচুরিয়া পরিত্যাগ করিতে হইবে। কোরিয়ায় জাপানের ক্ষমতা অক্ষুন্ন থাকিবে। ৬ই জানুয়ারি তারিখে রুষ রাজনৈতিক ভাষায় মানচুরিয়ায় জাপানের স্বত্ব স্বীকার করিলেন, কিন্তু কোরিয়া সম্বন্ধে নিজাভিপ্রায় পূর্ব্বমত বলবৎ রাখিলেন। ১৩ই জানুয়ারি তারিখে জাপান আপনার শেষ অভিপ্রায় ব্যক্ত করিয়া কহিলেন, মানচুরিয়ায় যাহাতে সমস্ত জাতিই স্বাধীনভাবে বাণিজ্য করিতে