পাতা:নব্য জাপান ও রুষ জাপান যুদ্ধের ইতিহাস - উমাকান্ত হাজারী.pdf/১১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
রুষ ও জাপান যুদ্ধের ইতিহাস।
৯৩

 নবম যুদ্ধ ২য় সাহােযুদ্ধ বা হিকণ্টাইয়ের যুদ্ধ নামে অভিহিত হইয়াছে। গত পূর্ব্ব ২৫শে জানুয়ারি দ্বিতীয় রুষ সেনাপতি গ্রিপেনবার্গ বিপুল সৈন্য লইয়া অতর্কিতভাবে জাপানবাহিনীর বামভাগ আক্রমণ করেন। প্রথম চারি দিবসের যুদ্ধ দর্শনে অনেকেরই ধারণা হইয়াছিল যে, বুঝি এতদিনে জয়লক্ষ্মী রুষের প্রতি অনুকূলা হইলেন। কিন্তু তাহা হইল না, রুযিয়ার দগ্ধ অদৃষ্টে সে শুভ মুহূর্ত্ত আসিয়াও আসিল না। সেনাপতি ওয়ামার অপূর্ব্ব নেতৃত্ব কৌশলে চতুর্থ রজনীতে যুদ্ধের গতি সম্পূর্ণ নূতনাকার ধারণ করিল, তাহার ফলে প্রভাতের পূর্ব্বেই রুষের পূর্ণ পরাজয় হইল।

 এইরূপ প্রকাশ, এই যুদ্ধে ৩৬ সহস্র রুষসৈন্য ও সাত সহস্র জাপানী সৈন্য হতাহত হইয়াছিল।

 পরাজয়ের হেতু নির্দ্দেশ করিতে যাইয়া গ্রিপেনবার্গ বলিয়াছেন;কুরোপাট্‌কিন যথা সময়ে সৈন্য সাহায্য করিলে, তাঁহাকে এরূপ পরাজয় সহ্য করিতে হইত না। কুরােপাট্‌কিন বলেন, গ্রিপেনবার্গ তাঁহার সহিত কোনরূপ পরামর্শ না করিয়া মহাযুদ্ধ সংঘটনপূর্ব্বক ভীষণ পরাজয় সহ্য করিয়াছিলেন।

 আর্থার বন্দর অধিকার পৃথিবীর সমর ইতিহাসে এক অপূর্ব্ব কীর্ত্তি। জাপানীরা ২৩৩ দিনব্যাপী অবরোধ করিয়া, বহু সৈন্য উৎসর্গ করিয়া ১৯০৫ খৃঃ ১লা জানুয়ারি তারিখে অজেয় আর্থার দুর্গে মিকাভাের সূর্য্যাঙ্কিত বিজয় বৈজয়ন্তী উড্ডীন করিতে সমর্থ হয়। এই বন্দর অধিকার করিতে জাপানীরা যে অসাধারণ সহিষ্ণুতা, বিপুল অধ্যবসায় ও অদ্ভুত শৌর্য্য প্রদর্শন করিয়াছে, জগতের ইতিহাসে তাহার তুলনা নাই।

 রুষ সেনাপতি মহাবীর ষ্টোসেল প্রতিজ্ঞাপূর্ব্বক বলিয়াছিলেন,