পাতা:নব্য জাপান ও রুষ জাপান যুদ্ধের ইতিহাস - উমাকান্ত হাজারী.pdf/১১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
৯৬
রুষ ও জাপান যুদ্ধের ইতিহাস।

 এইরূপ প্রকাশ, এই যুদ্ধে যে সমস্ত সমরোপকরণ ও রসদাদি জাপানের হস্তগত হইয়াছে, তাহার কিয়দ্দংশ শকটপূর্ণ হইয়া স্থানান্তরে প্রেরণ কালে ১২ মাইল পথ আচ্ছন্ন হইয়াছিল।

 মার্শাল ওয়ামার রিপোর্টে প্রকাশ, এই মহাসমরে জাপানের হতাহতের সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার হইয়াছিল।

 মুকদেন যুদ্ধের পরে, টিলিং, সিংহিং প্রভৃতি স্থানে যে সকল যুদ্ধ হইয়াছিল তাহার সকল গুলিতেই রুষিয়ার শােচনীয় পরাজয় হয়। পৃথিবীর সমরেতিহাসে এরূপ ধারাবাহিক পরাজয়ের কথা শ্রুত হওয়া যায় নাই।

বাল্টিক নৌ-বাহিনীর পরিণাম।

 জাপানিদিগকে উপর্য্যুপরি জয়লাভ করিতে দেখিয়া রুষ সম্রাট এডমিরাল রোজ্ডেজ্ভেনস্কির অধীনে বাল্টিক সাগরস্থিত নৌ-বাহিনীকে সুসজ্জিত করিয়া জাপানযুদ্ধে প্রেরণ করেন। এই বিপুল-বাহিনী যখন ইংরেজের কয়েকখানি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অর্ণবপােত বিনষ্ট করিয়া আটলাণ্টিকবক্ষঃ আলােড়িত করিতে করিতে প্রাচ্য সমুদ্রাভিমুখে ধাবিত হইল,তখন অনেকেই জাপানের পরিণাম ভাবিয়া আকুল হইয়াছিলেন। এই সময়ে জার্ম্মানি, ফরাসী প্রভৃতি নিরপেক্ষ শক্তিপুঞ্জেরা বিবিধ উপায়ে রুষিয়ার সাহায্য করিয়াছিলেন। অধিক কি, ইংরেজ বণিকেরা পর্য্যন্ত প্রকারান্তরে এই বিরাটবাহিনীর আবশ্যকীয় ইন্ধনাদি সংগ্রহে সহায়তা করিয়াছিলেন। এই সমস্ত ঘটনায়, বিশেষতঃ যখন রুষবাহিনী চীনসাগর অতিক্রম করিয়া জাপানের নিকট দিয়া উত্তরাভিমুখে অগ্রসর হইল, অথচ জাপানী নৌ-সেনাপতি টেগো শত্রুর গতি-