পাতা:নব্য জাপান ও রুষ জাপান যুদ্ধের ইতিহাস - উমাকান্ত হাজারী.pdf/১২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
রুষ ও জাপান যুদ্ধের ইতিহাস।
১০১

করেন। তদনুসারে রুষপক্ষে কাউণ্ট ডি-উইটী ও জাপান পক্ষে ব্যারণ কমুরা সন্ধিদূত নিযুক্ত হইয়া, আমেরিকার পাের্টসমাউথ নগরে গমন করেন। ১০ই আগষ্ট তারিখে সন্ধির প্রথম অধিবেশন হয়। প্রায় এক মাসকালব্যাপী প্রবল তর্ক বিতর্কের পরে ৫ই সেপ্টেম্বর তারিখে উভয় পক্ষ সন্ধিপত্রে স্বাক্ষর করিয়া, বিংশশতাব্দীর প্রথম যুদ্ধের অবসান করেন।

 নিম্নে সন্ধির যাবতীয় স্বত্ত্বগুলি ধারাবাহিকরূপে সঙ্কলিত হইল।

 ১। যুদ্ধের ক্ষতিপূরণজন্য জাপান গভর্ণমেণ্ট রুষিয়ার নিকটে অর্থরূপে কিছু গ্রহণ করিবেন না। যে সমস্ত রুষ সৈন্য বন্দী হইয়া জাপানে অবস্থিতি করিতেছে, তাহাদের জন্য যে টাকা ব্যয় হইয়াছে, জাপান তাহা প্রাপ্ত হইবেন।

 ২। রুষাধিকৃত সাগেলিয়ন দ্বীপ সমান দুই অংশে বিভক্ত করিয়া, তাহার দক্ষিণার্দ্ধ জাপান গ্রহণ করিবেন। এই অর্দ্ধাংশে জাপান গভর্ণমেণ্ট স্থায়ীভাবে কোন দুর্গাদি নির্ম্মাণ করিবেন না। যেশাে ও সাগেলিয়ান দ্বীপের মধ্যবর্তী লাপিরুজ প্রণালী জাপানের অধিকার ভুক্ত হইবে।

 ৩। লিয়াওটাং উপদ্বীপ, দুর্গাদিসহ আর্থার বন্দর ও ইলিয়ট দ্বীপপুঞ্জ জাপান গভর্ণমেণ্ট প্রাপ্ত হইবেন।

 ৪। যুযুৎসু জাতিদ্বয় নির্দ্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মানচুরিয়া পরিত্যাগ করিবেন।

 ৫। স্বরাজ্যে চীন গভর্ণমেণ্টের একাধিপত্য স্থাপিত হইবে।

 ৬। চীনরাজ্যে সমস্ত বৈদেশিক শক্তির সমান বাণিজ্যাধিকার থাকিবে।

 ৭। হার্ব্বিন হইতে আর্থার বন্দর পর্যন্ত রুষিয়ার রেলপথ