পাতা:নব্য জাপান ও রুষ জাপান যুদ্ধের ইতিহাস - উমাকান্ত হাজারী.pdf/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
৶৹

যাহাকে বন্ধু বলিয়া আলিঙ্গন করিতে উদ্যত, মার্কিণনক্র দূরে অবস্থান করিয়াও যাহার নামে কম্পিত, মুসলমান জগতের একছত্রী সম্রাট তুরষ্ক সােলতান যাহার পদানত, সেই মহাকায় ভীম-পরাক্রমশালী রুষঋক্ষের সহিত ক্ষুদ্র দ্বীপবাসী জাপান তরক্ষুর যুদ্ধ! আশঙ্কার কারণ নাই কি?

 আমরা জাপানকে প্রাণের অধিক ভালবাসি। জাপানবাসী নরনারিগণকে অতি নিকট আত্মীয় বলিয়া মনে করি। যাঁহারা বলেন, জাপান একদিন নিজ বাহুবলে ইংলণ্ডকে পর্য্যুদস্ত করিয়া সমগ্র ভারতবর্ষকে স্বাধীনতা প্রদান করিবে, জাপানের কৃপায় বােম্বাই নগরী একদিন বােষ্টন বন্দরে পরিণত হইবে, তাঁহারা হয় ভ্রান্ত, না হয় উন্মাদগ্রস্ত। বাতুলালয়ই তাঁহাদের উপযুক্ত বাসস্থান। জাপানের প্রতি আমাদের ভালবাসা ও সহানুভূতির কারণ অন্যবিধ। জাপান এসিয়াবাসী বলিয়া আমাদের ধর্ম্মভ্রাতা, জাপানবাসীরা ভগবান বুদ্ধদেবের উপাসক বিধায় আমাদের ধর্ম্ম শিষ্য। আমাদের সর্ব্বপ্রধান তীর্থ গয়াধাম, জাপানিগণের অতি প্রিয় ও পরম তীর্থ। জাপানে বিধিমতে সংস্কৃত চর্চ্চা হইয়া থাকে, এক্ষণে বহুতর জাপানী যুবক ভারতে আসিয়া সংস্কৃত ভাষা শিক্ষা করিতেছেন। ইউরােপ বা আমেরিকায় আমাদের স্থান নাই, তথায় আমরা বিতাড়িত, ঘৃণিত ও অপমানিত। অষ্ট্রেলিয়া ও আফ্রিকায় ভারতবাসী মাত্রেই কুলি বলিয়া অভিহিত। পক্ষান্তরে জাপানের প্রতি গৃহদ্বার আমাদের জন্য উন্মুক্ত, তথায় আমরা ভারতবাসী বলিয়া পূর্ব্বগৌরবে সম্মানিত। মিঃ ওয়াগেল ইংলণ্ডে কাচনির্ম্মাণ কৌশল শিক্ষা করিতে গিয়া যে বিপদে পড়িয়াছিলেন, তাহা আমরা ভুলি নাই; আর আজি ভারতবাসী