পাতা:নব্য জাপান ও রুষ জাপান যুদ্ধের ইতিহাস - উমাকান্ত হাজারী.pdf/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
৶৹

দলে দলে জাপানে গমন করিয়া নিরুপদ্রপে নানাবিধ শিল্পকলা শিক্ষা করিয়া আসিতেছেন, তাহাও স্বচক্ষে দেখিতেছি। ইহাতেও যদি আমরা জাপানকে ভাল না বাসি, জাপানিগণের প্রতি অকৃত্রিম অনুরাগ পােষণ না করি, জাপানবাসীর মঙ্গলের জন্য সর্ব্বমঙ্গলার চরণে প্রার্থনা না করি, তাহা হইলে আমাদের মত কৃতঘ্ন ও নরাধম ধরাতলে আর কোথায় পাওয়া যাইবে?

 জাপানবাসিগণের নিকটে আমরা প্রত্যক্ষ ও পরােক্ষভাবে যে সমস্ত উপকার পাইতেছি, একবার তাহারও আলােচনা ও চিন্তা করা কর্ত্তব্য। ইহা অস্বীকার করিবার উপায় নাই যে, একটী আমাদের মত ক্ষুদ্রকায় অন্নমৎস্যভুক আসিয়িক জাতি গত ৩০ বৎসরের চেষ্টায় যে অনন্যসাধারণ উন্নতিলাভ করিয়াছে, তাহা দিনান্তে চিন্তা করিয়াও আমাদের আশা ও আকাঙ্ক্ষা একটু ঊর্দ্ধে উঠিয়াছে। আমার নিত্যউপবাস-রুগ্ন প্রতিবাসীর পর্ণকুটীর সহসা প্রাসাদে পরিণত ও অতিথি অভ্যাগতের আনন্দ কোলাহলে মুখরিত হইয়া উঠিলে, আমরা যেরূপ যত্ন ও পরিশ্রম সহকারে তাহার কারণ নির্দ্দেশে চেষ্টা করিয়া থাকি, আজ শিক্ষিত ভারতবাসী মাত্রেই সেইরূপ আগ্রহ সহকারে জাপানের অসাধারণ অভ্যুদয়ের কারণ নির্দ্দেশে প্রবৃত্ত হইয়াছেন। তাহারই ফলে “স্বদেশী সমাজ” প্রভৃতি বিবিধ সাময়িক প্রবন্ধের উদ্ভব হইয়াছে, বিভিন্নমতাবলম্বিগণের মধ্যে সৌভ্রাত্রভাব ও একতার পথ উন্মুক্ত হইয়াছে। আজ ভারতবর্ষের নগরে নগরে, গ্রামে গ্রামে, পল্লীতে পল্লীতে সাধারণ শিক্ষার উপযােগিতা ও বিজ্ঞান শিক্ষার আবশ্যকতা বজ্রনির্ঘোষে ঘােষিত হইতেছে। রাজানুগ্রহের উপর নির্ভর না করিয়া, রাজনৈতিক আন্দোলনে সমস্ত শক্তি