পাতা:নব্য জাপান ও রুষ জাপান যুদ্ধের ইতিহাস - উমাকান্ত হাজারী.pdf/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
নব্য জাপান
১৭

হয়। অবশেষে মিকাডো ও তাঁহার মানসপুত্রগণের বাহুবলে দানবেরা পরাজিত হইয়া দেশত্যাগ পূর্ব্বক পাতাল প্রদেশে পলায়ন করে। যুদ্ধাবসানে মিকাডো নিপনের সম্রাট হন। ইহাই জাপানের পৌরাণিক ইতিহাস।

 মিকাডাে বংশে জীমূতমনু নামক জনৈক মহাপ্রতাপশালী নরপতি জন্মগ্রহণ করেন। প্রথম নিনো অব্দে অর্থাৎ খৃষ্ট জন্মিবার ৬৬০ বৎসর পূর্ব্বে ইহাঁর আবির্ভাব হয়। এই সময় হইতে জাপানে কাল গণনার সূত্রপাত হয়। দেববংশসম্ভূত বলিয়া জীমূতমনু রাজ্যের সর্ব্বত্রই প্রতিষ্ঠা লাভ করিয়াছিলেন। সহস্র সহস্র ধর্ম্মমন্দিরে মহােৎসব সহকারে তাঁহার নিত্য পূজা হইত। প্রজাগণ সাক্ষাৎ ঈশ্বর বােধে তাঁহাকে ভয় ও ভক্তি করিত। এই সময়ে জাপানীরা সিণ্টো ধর্মাবলম্বী ছিল। সূর্য্যপূজা, রাজভক্তি ও স্বদেশপ্রীতি এই ধর্ম্মের মূলমন্ত্র ছিল। প্রজা মাত্রেই সম্রাট ও স্বদেশের জন্য সাগর সলিলের ন্যায় অকাতরে অর্থ ও শােণিত ব্যয় করিত।

 জীমূতমনু মিকাডাের পর হইতে জাপানে রাজ-সম্মান অত্যধিক পরিমাণে বৃদ্ধি পাইতে থাকে। এই সময়ে জনসাধারণ সম্রাটকে দেবতা বােধে তাঁহার শরীর পরম পবিত্র বলিয়া বিশ্বাস করিত। রাজা কোন সময়ে মৃত্তিকা স্পর্শ করিতেন না। কোনস্থানে যাইতে হইলে বাহকের স্কন্ধে উঠিয়া গমন করিতেন। সম্রাটের নখর ও কেশ প্রভৃতি কেহই পাপভয়ে ছেদন করিতে সাহসী হইত না। সম্রাটের জন্য প্রত্যহ নূতনপাত্রে রন্ধন হইত, রন্ধনান্তে সেগুলি সমুদ্রগর্ভে পরিত্যাগ করা হইত। সম্রাট প্রত্যহ নূতন স্বর্ণপাত্রে