পাতা:নব্য জাপান ও রুষ জাপান যুদ্ধের ইতিহাস - উমাকান্ত হাজারী.pdf/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
১৮
নব্য জাপান

ভােজন করিতেন। সে পাত্র পরিত্যাগ না করিয়া, তাহা অবসর মত দ্রব করিয়া নূতন পাত্র প্রস্তুত করা হইত। সম্রাটের পীড়া হইলে, সিণ্টো ধর্ম্মমন্দিরের পুরোহিতগণকে অনশনে থাকিয়া ত্রিসন্ধ্যা সূর্য্যোস্তোত্র পাঠ করিতে হইত। সম্রাট শাস্ত্রানুসারে দ্বাদশটি পত্নী গ্রহণ করিতে পারিতেন। পত্নীগর্ভজাত সন্তান মাত্রেই রাজ সম্মান প্রাপ্ত হইতেন। সর্ব্বাপেক্ষা জ্যেষ্ঠ পুত্রের গৌরব অধিক ছিল, তাঁহারই অদৃষ্টে সিংহাসনের উত্তরাধিকার ঘটিত। সম্রাটের মৃত্যু হইলে কনিষ্ঠ পত্নী মৃতপতির অনুগামিনী হইতেন। অন্যান্য পত্নীরা ইচ্ছা করিলে এই সতীধর্ম্ম পালন করিতে পারিতেন। বিধবা সম্রাট-মহিষীরা অন্য পতি গ্রহণ করিতে পারিতেন না।

 এই সময়ে জাপানিগণের মধ্যে বিবিধ সংস্কার বিদ্যমান ছিল। তাহারা শুনিয়াছিল, পৃথিবীর নিম্নে একটি বৃহদাকার তিমিঙ্গিল আছে, সেই মৎস্য মস্তক নাড়িলে ভূমিকম্প হয়। তাহারা বলিত দেবমন্দির গুলি সিণ্টোর পতাকার উপরে স্থাপিত বলিয়া তথায় ভূমিকম্পের উপদ্রব হয় না। তাহাদের বিশ্বাস ছিল, কুদিনে মরিলে মনুষ্য প্রেতযােনি প্রাপ্ত হয়, অধার্ম্মিকগণ মরণান্তে শৃগাল ও উল্কামুখী হয়।

 আমরা যে সময়ের কথা বলিতেছি, সে সময়ে ভারতবর্ষ চীন, গ্রীক ও মিশর প্রভৃতি কয়েকটি দেশ ভিন্ন সমগ্র পৃথিবী অজ্ঞানান্ধকারে আচ্ছন্ন ছিল। আশ্চর্যের বিষয়, এই সময় হইতে (২৫৫০ খৃঃ পূঃ) জাপানের পুরাবৃত্ত অতি সুন্দরভাবে লিখিত হইতে আরম্ভ হইয়াছে।

 আমরা দেখিতে পাই, প্রাচীনযুগেও জাপানবাসীরা শিল্প ও