প্রতিষ্ঠিত ছিলেন। যুদ্ধবিদ্যায় ইনি ইয়ামাগাটার প্রিয়শিষ্য এবং কুটমন্ত্রণায় আইটোর সমকক্ষ। ইহাঁর কৌশল ও সুমন্ত্রণায় জাপান সাম্রাজ্য অল্প দিবসেই সভ্যজগতের মধ্যে পরিগণিত হইয়াছে।
মার্কুইস সৈয়নজি কিনমৎসু, বর্ত্তমান বৎসরে (১৯০৬ খৃ) ইনি জাপানের প্রধান মন্ত্রীপদে অধিষ্ঠিত হইয়াছেন। এই অল্প সময়ের মধ্যে ইনি জাপানের অন্তর্বাণিজ্য ও বহির্বাণিজ্য সম্বন্ধে যেরূপ অসাধারণ উন্নতি সাধন করিয়াছেন, তাহাতে ইহাঁর বুদ্ধিমত্বা ও কার্য্যতৎপরতার সম্যক পরিচয় পাওয়া গিয়াছে।
ব্যারণ কমুরা, গত মহাযুদ্ধের সময়ে ইনি জাপানের পররাষ্ট্রসচিব ছিলেন। জাপান সাম্রাজ্যের মধ্যে ইনি একজন বিচক্ষণ রাজনীতিক বলিয়া পরিচিত। ইনি আমেরিকার পাের্টস্মাউথ নগরে উপস্থিত থাকিয়া রুষ-জাপান যুদ্ধের সন্ধিপত্রে জাপান সম্রাটের পক্ষে নাম স্বাক্ষর করেন। ব্যারণ মহােদয় এক্ষণে জাপানের রাজদূত স্বরূপে ইংলণ্ডে অবস্থান করিতেছেন।
কাউণ্ট কাটোটাকাকী, বর্ত্তমান বৎসরে ইনি জাপানের বৈদেশিক মন্ত্রীপদে অধিষ্ঠিত হইয়াছেন।
কাউণ্ট অকুমা, ইতিপূর্ব্বে জাপানের রাজস্ব সচিব ছিলেন। ইনি সর্ব্বদাই অকপট চিত্তে দেশের উপকার করিয়া থাকেন। সমগ্র রাজ্যমধ্যে ইহাঁর শত্রু নাই। ইহাঁর ন্যায় সরলভাষী, সুবক্তা ও লেখক জাপান রাজ্যে অধিক দৃষ্ট হয় না।
ব্যারণ সাকাটানি যশিরো, জাপানের বর্ত্তমান রাজস্ব-মন্ত্রী। ইনি অল্পদিবস মধ্যে জাপানের রাজস্ববিষয়ক