পাতা:নব্য জাপান ও রুষ জাপান যুদ্ধের ইতিহাস - উমাকান্ত হাজারী.pdf/৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
৩৬
নব্য জাপান

বিবিধ উন্নতি সাধন করিয়াছেন। সাম্রাজ্যের আয়ব্যয় সম্বন্ধীয় প্রত্যেক বিভাগেই ইহাঁর প্রখর দৃষ্টি দেখিতে পাওয়া যায়।

 লেপ্টনাণ্ট জেনারল টেরাউচি,——ইনি এক্ষণে জাপানের যুদ্ধমন্ত্রীর পদে নিযুক্ত রহিয়াছেন। ইহাঁর ন্যায় সুকৌশলী কূটমন্ত্রণানিপুণ সেনাপতি পৃথিবীতে বিরল। ইহাঁর কার্য্য সকল বিদ্যুতের ন্যায় মহাদ্রুতগতিতে সম্পন্ন হয়।

 মার্কুইস ওয়ামা,——বয়ষ ৬২ বৎসর। গত মহাযুদ্ধে ইহাঁর অদ্ভুত রণপাণ্ডিত্য ও অসাধারণ সৈন্য পরিচালনাশক্তি দর্শন করিয়া সভ্যজগৎ স্তম্ভিত হইয়াছিল। গৃহে পরিজনগণের নিকটে ইনি ভদ্র, শান্ত ও হাস্যবদন; কিন্তু রণক্ষেত্রে, শক্রসমক্ষে কালান্তক শমন। ইনি ১৮৯৪ খৃঃ চীনজাপান যুদ্ধে অশীতি সহস্র সৈন্য লইয়া যুদ্ধে জয়লাভ করেন। গত রুষজাপান যুদ্ধে ইনি প্রধান সেনাপতি রূপে অসংখ্য জাপানবাহিনী পরিচালিত করিয়াছিলেন। ইহাঁর দেহের দৈর্ঘ্য প্রায় ৬ ফুট হইবে। মার্কইসের পত্নী জাপান সাম্রাজ্যমধ্যে বিদুষী বলিয়া পরিচিতা। ইহাঁর দুইটী পুত্র ও একটী কন্যা আছে।

 কাউণ্ট নডজু,——বয়স ৬১ বৎসর। সকলের বিশ্বাস ইহাঁর ন্যায় রণনিপুণ সেনাপতি জাপানে আর নাই। কাউণ্ট মহাশয় মহাযুদ্ধ ভিন্ন আনন্দানুভব করেন না। সৈন্যগণ মধ্যে ইহাঁর বিশেষ প্রতিপত্তি আছে। ইনি জাপানিগণ মধ্যে মহাবলশালী ও কুস্তিকুশল ব্যক্তি বলিয়া বিখ্যাত। গত মহাযুদ্ধে ইনি জাপান অনীকিনীর মধ্যভাগ পরিচালন করিয়া অদ্ভুত সমরনৈপুণ্যের পরিচয় প্রদান করিয়াছিলেন।