ব্যারণ কুরোকী, বয়ষ ৬১ বৎসর। এইরূপ শুনা যায়, ইহাঁর পিতা রুষাধিকৃত পােলণ্ডদেশ হইতে জাপানে আগমন করিয়াছিলেন। কামানের গভীর গর্জ্জন, আহতের হৃদয়বিদারী আর্তনাদ, মুমূর্ষুর কাতরতা, কিছুতেই ইহাঁর ভ্রুক্ষেপ নাই। ব্যারণ মহােদয় মৃত্যুকে অতি তুচ্ছ বলিয়া মনে করেন। রণক্ষেত্র তাঁহার নিকট ক্রীড়াক্ষেত্র স্বরূপ প্রতীয়মান হয়। গত মহাযুদ্ধে ইনি জাপান চমূর দক্ষিণপার্শ্ব পরিচালনা করিয়াছিলেন।
কাউণ্ট ওকু, বয়ষ ৬৫ বৎসর। ইহার মুখশ্রী সুন্দর ও অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সুগঠিত। কাউণ্টের বেগ প্রতি প্রচণ্ড। ইনি যুদ্ধক্ষেত্রে কোনও বিঘ্ন অনতিক্রম্য বলিয়া বিশ্বাস করেন না। কাউণ্ট মহােদয় জীবনের কোন সময়েই শত্রুগণকে হাস্য করিবার অবসর প্রদান করেন নাই। মহামহিম ভারত সম্রাটের মকুটোৎসব সময়ে ইনি দিল্লী নগরীতে শুভাগমন করিয়াছিলেন। গত মহাযুদ্ধে ইনি জাপান সৈন্যের বামপার্শ্ব রক্ষা করিয়াছিলেন।
কাউণ্ট নগী, ইহার ন্যায় দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ও কঠোর অন্তঃকরণবিশিষ্ট সেনাপতি জাপান সাম্রাজ্যে দেখিতে পাওয়া যায় না। এ পর্যন্ত কেহই ইহাঁর নয়নে শােকাশ্রু বহির্গত হইতে দেখে নাই। কাউণ্ট লক্ষপতি হইয়াও অতি দীনপ্রজার ন্যায় জীবনযাত্রা নির্ব্বাহ করিয়া থাকেন। সম্রাট ও স্বদেশ ভিন্ন কাহারও উপরে তাঁহার মায়া মমতা নাই। গত মহাযুদ্ধে ইনি আর্থার বন্দর অধিকার করিয়া সমগ্র পৃথিবীবাসীর বিস্ময় উৎপন্ন করিয়াছিলেন। এই কালসমরে তাঁহার দুইটী পুত্রেরই মৃত্যু হয়।
ভাইস এডমিরাল সেটো মিনরু, বর্ত্তমান বৎসরে ইনি জাপানের জলযুদ্ধ বিভাগের মন্ত্রীপদে প্রতিষ্ঠিত হইয়া-