থাকে। সিন্জুগণ মস্তক মুণ্ডন করে না। ইহারা বিবাহ গৌরবের বিষয় বলিয়া মনে করে। সিন্জুদিগের একটী বিশেষত্ব এই যে, ইহারা গাত্রবস্ত্রে ও শিরস্ত্রাণে স্বীয় নাম ও বাসস্থান প্রভৃতি আবশ্যকীয় পরিচয় লিখিয়া রাখে। ইহারা মাসের প্রথম, পঞ্চদশ ও অষ্টাবিংশতি দিবসে উপাসনা ভিন্ন অন্য কোন গৃহকার্য্য করে না। সিনজুগণ রাজাজ্ঞাপালন, তীর্থ ভ্রমণ, ভিখারীভোজন, পুণ্যদিনে দান করণ ইত্যাদি কার্য্য ইহলোক ও পরলোকের কল্যাণপ্রদ বলিয়া বিশ্বাস করে।
খৃষ্টীয় ৬ষ্ঠ শতাব্দীতে চীনদেশীয় প্রচারকগণ জাপানে বৌদ্ধধর্ম্ম প্রচার করিতে আরম্ভ করেন। এই সময়ে জাপানে শিণ্টোধর্ম্ম, ভারতীয় তান্ত্রিকধর্ম্ম ও চীনদার্শনিক কনফিউসিয়াস্ প্রবর্ত্তিত একটী প্রাচীন ধর্ম্ম বিদ্যমান ছিল।
এক্ষণে জাপানের অধিকাংশ ব্যক্তিই বৌদ্ধধর্ম্মাবলম্বী। প্রায় প্রতি পল্লীতেই বৌদ্ধধর্ম্মমন্দির ও যাজক দেখিতে পাওয়া যায়।
জাপানে প্রত্যেক গৃহস্থের বাটীতে তিনটী পবিত্র স্থান আছে। প্রথম, কামিদানা অর্থাৎ সৃষ্টিকর্ত্তা ভগবানের পূজাস্থান; দ্বিতীয়, বুদসুদান অর্থাৎ বুদ্ধবেদী; তৃতীয়, ইউজি-গেমি অর্থাৎ কুলদেবতা-গৃহ। এই সকল স্থানে প্রত্যহ যথারীতি পূজা হইয়া থাকে। সিনজুগণ দেবতার সম্মুখে দর্পন, শুভ্রবস্ত্র ও পানপাত্র স্থাপন করিয়া চাউল, সাকি ও বিবিধ মৎস্যসহযোগে উপাসনায় প্রবৃত্ত হইয়া থাকে। বৌদ্ধগণ দেবপূজায় মৎস্য ব্যবহার করে না। টৌরীশাখা, কদলীপত্র ও বিচালিনির্ম্মিত রজ্জু দেবকার্য্যে ব্যবহৃত হইয়া থাকে। পূজাগৃহে প্রত্যহ দীপদান করা হয়।