পাতা:নব্য জাপান ও রুষ জাপান যুদ্ধের ইতিহাস - উমাকান্ত হাজারী.pdf/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
৪৮
নব্য জাপান !

ভাবকের অসম্মতিতে গৃহত্যাগিনী ও চৌর্য্যাদি দোষাক্রান্তা হইলে, রাজবিধানের সাহায্য লইয়া পত্নীত্যাগ করিতে হয়। যাহারা লেখ্য-সাহায্যে চুক্তিবদ্ধ হইয়া বিবাহ করে, তাহারা রাজসাক্ষিক লেখ্যের চুক্তি অনুসারে বিবাহসম্বন্ধ বিচ্ছিন্ন করিতে পারে।

 জাপানে নিম্নশ্রেণীর অশিক্ষিত সম্প্রদায়েরমধ্যে বিধবা বিবাহ প্রচলিত আছে। উচ্চ ও সম্ভ্রান্ত পরিবারমধ্যে এই প্রথা নিন্দনীয় বলিয়া অভিহিত হইয়া থাকে। অতি পূর্ব্বে সন্ত্রান্তবংশে সহমরণ প্রথা প্রচলিত ছিল, এক্ষণে রাজব্যবস্থা দ্বারা তিরােহিত হইয়াছে।

 জাপানে ভিন্ন ভিন্ন আখ্যাধারী বহুসংখ্যক বংশের পরিচয় পাওয়া যায়। প্রত্যেক বংশেই একজন করিয়া “ইউজি-নো-


    মদ্যপাহ সাধুবৃত্তা চ প্রতিকূলা চ যা ভবেৎ।
    ব্যাধিতা বাধিবেত্তব্যা হিংস্রার্থঘ্নী চ সর্ব্বদা॥
    বন্ধ্যাষ্টমেঽধি বেদ্ব্যাব্দে দশমে তু মৃতপ্রজা।
    একাদশে স্ত্রীজননী সদ্যস্ত্বপ্রিয় বাদিনী॥ ৯ম অঃ ৮০৷৮২

     অর্থাৎ মদ্যাপানাসক্তা, দুশ্চরিত্রা, গতিবিদ্বেযিণী, ব্যাধিগ্রস্থা, অপকার-সাধনক্ষমা ও ধনক্ষয়কারিণী স্ত্রী সত্ত্বে স্বামী বিবাহ করিবে। স্ত্রী বন্ধ্যা হইলে, মৃতবৎসা হইলে, কন্যাপ্রসবিনী হইলে, অপ্রিয়ভাষিণী হইলে অধিবেদন করিবে।

     The commentators of the Taiho code say that the sterility here dose not mean actul barrenness, but the failure of male issue. অর্থাৎ তৈহোসংহিতার টীকাকারেরা বলিয়াছেন, কেবল বন্ধ্যা নহে, কন্যাপ্রসবিনী স্ত্রী সত্ত্বেও দারান্তর করিবে।