“বুসিডাের” কয়েকটী উপদেশ এইরূপ;—“আড়ম্বর পরিত্যাগ পূর্ব্বক দীনভাবে জীবনযাত্রা নির্ব্বাহ কর।” “আত্ম অবস্থায় সন্তুষ্ট থাকিয়া স্বধর্ম্ম প্রতিপালন কর।” “হিংসা, দ্বেষ, মিথ্যা, চাতুর্য্য পরিহার করিয়া সত্য ও সরলতার আশ্রয় গ্রহণ কর।” “পরলােকে বিশ্বাস স্থাপন করিয়া ধর্ম্মাচরণ কর।” “বিবেকের সাহায্যে পাপপুণ্য নির্ণয় কর।” ইত্যাদি
“কোজিকী”, “বুসিডাে” প্রভৃতি গ্রন্থ পাঠ করিলে স্পষ্টই বুঝা যায় যে, প্রাচীনযুগে জাপানী সাহিত্যে প্রভূত পরিমাণে সংস্কৃত ভাষার রীতি প্রবেশলাভ করিয়াছিল। সংস্কৃতের ন্যায় জাপানী কবিতায় এখনও দ্ব্যর্থ দেখা যায়। অনেকগুলি জাপানী শব্দের সহিত সংস্কৃত শব্দের সাদৃশ্য লক্ষিত হয়। যথা,—“শামন” (শ্রমণ) “সর” (স্বর্গ) “সামুরে” (সমর) “যিযুৎসু” (যুযুৎসু) “সেন্দন্” (চন্দন) ইত্যাদি।
খৃষ্টীয় পঞ্চম ও ষষ্ঠ শতাব্দে জাপানী সাহিত্য বৌদ্ধধর্ম্মের নবীন উপাদানে নবীকৃত হইয়া উঠে। এই সময়ে চীন ভাষা হইতে কয়েকখানি গ্রন্থ জাপানী ভাষায় অনুদিত হয়। এই সমস্ত গ্রন্থাবলীর মধ্যে প্রজ্ঞা পারমিতা, মহাপ্রজ্ঞা পারমিতা অমিতাভ সূত্র, রত্নজাল সূত্র, মহা পরিনির্ব্বান সূত্র, (এইখানি এক্ষণে সংস্কৃত ভাষায় পাওয়া যায় না) ললিত বিস্তর, ধর্ম্মপদ, সাংখ্য দর্শন, চন্দ্রগর্ভ ও সূর্য্যগর্ভ মহায়ণ সূত্র প্রভৃতি ধর্ম্মগ্রন্থ সমধিক প্রসিদ্ধ। সপ্তম শতাব্দে সাহিত্য প্রাচীন ভারতের ন্যায় কবিতাবহুল হইয়া উঠে। এই সময়ে চীন দার্শনিক কনফিউসিয়াসের নীতিশিক্ষায় লােকের হৃদয় কর্ম্মপ্রবণ ও ধর্ম্মানুরক্ত করিবার জন্য জাপানী কবিরা বিবিধ বিষয়ের কবিতা