আছে। অশ্বসমূহের জন্য রাজ্যমধ্যে সাড়ে চারি লক্ষ বিঘা জমি পতিত আছে। টোকিও ও ওসাকা নগরে কামান, গােলাগুলি ও অস্ত্রাদির কারখানা আছে। মেজারু, ইটাবাস ও আইওনা নগরে বারুদের গুদাম আছে।
জাপানের পদাতিক সৈন্য জর্ম্মন আদর্শে গঠিত। এই বিভাগে কোন বিদেশীয় জাতির প্রবেশাধিকার নাই।
জাতীয় বিপত্তি উপস্থিত হইলে, জাপানের সৈন্য-সংখ্যা আরও বর্দ্ধিত হইতে পারে। রাজাজ্ঞানুসারে জাপানবাসী সমর্থ পুরুষ মাত্রেই অস্ত্রধারণ করিতে বাধ্য। সমগ্র জাপান-সাম্রাজ্যে এক্ষণে উক্তরূপ যুবকের সংখ্যা ৮০ লক্ষের অধিক হইবে। তন্মধ্যে ২০ লক্ষ যুবক যুদ্ধবিদ্যা শিক্ষা করিয়া অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করিয়াছেন। প্রয়ােজন হইলে স্বদেশের গৌরব রক্ষার জন্য তাঁহারা এই মুহুর্ত্তেই সমরাঙ্গনে অবতীর্ণ হইতে পারেন।
জাপান গবর্ণমেণ্ট এক্ষণে সেনা-বিভাগ সম্বন্ধে যে ব্যবস্থা করিয়াছেন, তাহার ফলে তাঁহারা ভবিষ্যতে সমরক্ষেত্রে সাড়ে সাত লক্ষ সৈন্য প্রেরণ করিতে সমর্থ হইবেন। জাপানী গবর্ণমেণ্ট মাঞ্চুরিয়া ও কোরিয়ার সৈন্য সংখ্যা বৃদ্ধি করিতেছেন। যেরূপ ব্যবস্থা হইয়াছে, তাহাতে জাপানস্থিত সৈন্যের সংখ্যা শতকরা ৫০ জন হিসাবে বৃদ্ধি হইবে। জাপানের মন্ত্রিসভায় সে দিন জাপানী সমরসচিব স্পষ্টই বলিয়াছেন, জাপানী বাহিনীকে তাঁহারা এমন দুর্দ্ধর্ষ করিয়া তুলিবেন যে, কোন শক্তিই তাঁহাদিগের সহিত সহসা শক্তি পরীক্ষায় সাহসী হইবেন না। জাপানীরা অচিরেই পৃথিবীতে অজেয় শক্তিরূপে পরিণত হইবে প্রাচ্য দেশসমূহের পক্ষে ইহা সুসংবাদ, সন্দেহ নাই।