জাপান গভর্ণমেণ্টকে প্রচুর সৈন্য পরিপােষণ করিতে হইলেও বৎসরে ছয় কোটী টাকার অধিক ব্যয় করিতে হয় না। জাপানে প্রতি পদাতিক সৈন্য ও অশ্বারােহী সৈন্যের বার্ষিক বেতন যথাক্রমে ৪৫৲ ও ৬০৲ টাকা মাত্র। কর্ণেল, কাপ্তেন প্রভৃতি সেনানায়কেরা বৎসরে দেড় শত হইতে দুই শত টাকা বেতন পাইয়া থাকেন। প্রধান সেনাপতিগণের বার্ষিক বেতন ৫০০৲ হইতে ৭৫০৲ টাকার অধিক নহে। সৈন্যবিভাগীয় কুলিগণের প্রত্যেক ব্যক্তি খাদ্য ও দৈনিক ৴১০ হিসাবে মাহিনা পাইয়া থাকে। যুদ্ধক্ষেত্রে সৈন্যদিগকে প্রত্যহ তিনবার করিয়া খাদ্য প্রদান করা হইয়া থাকে। প্রত্যুষে চা, বিষ্কুট, মাছভাজা ও শুষ্কান্ন; মধ্যাহ্নে ভাত, শুস্কমৎস্য ও মাংস, এবং সায়াহ্ণে চা, বার্লি, পাঁওরুটী ও পায়ষ ব্যবস্থা। চিকিৎসকের আদেশানুসারে এই ব্যবস্থা পরিবর্ত্তিত হইয়া থাকে।
নৌবল।
জাপানবাসীরা গত ত্রিশ বৎসরের মধ্যে জলযুদ্ধ বিষয়েও অসামান্য উন্নতি লাভ করিয়াছে। জাপানীরা বুঝিয়াছে, দ্বীপবাসীর পক্ষে প্রবল নৌ-বল ভিন্ন আত্মরক্ষার সুবিধা হইতে পারে না। ইংরেজ নৌ-সেনাপতি ফিট্জিরাল্ড স্পষ্টাক্ষরে বলিয়াছেন; In some matters they appears to have improved upon the methods of their instructor.
অর্থাৎ জাপানীরা স্বীয় প্রতিভাবলে, কোন কোন বিষয়ে ইংরেজাপেক্ষাও নৌ-যুদ্ধের অধিকতর উন্নতি সাধন করিরাছে। পরপৃষ্ঠায় জাপানের বর্ত্তমান নৌ-বলের তালিকা প্রকাশ করা যাইতেছে।