পাতা:নব্য রাসায়নী বিদ্যা ও তাহার উৎপত্তি - প্রফুল্লচন্দ্র রায়.pdf/১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

aldo) পত্রিকায় যে সকল সুন্দর প্রবন্ধ লিখিতেছেন তাহা দ্বারা প্রমাণ কইতেছে যে একটু যত্ন করিলে পরিভাষার জন্য কাজ আটকায় না ॥ হিন্দুজাতি রসায়নশাস্ত্রে কতদুব পারদর্শিতা ও বুৎপত্তিলাভ করিয়াছিলেন এই প্রশ্নের মীমাংসায় প্রবৃত্ত হইয়া আজ ১৭ বৎসর যাবৎ অনেক প্রাচীন বৈদ্যক ও তান্ত্রিক গ্রন্থ অভিনিবেশ পূৰ্ব্বক পাঠ করিতে হইয়াছে। ইহাতে জানা গিয়াছে যে বহুকাল হইতে এদেশে অনেক গুলি পারিভাষিক শব্দ প্রচলিত আছে। কিন্তু সে গুলি আমরা এক প্রকার ভুলিয়া গিয়া নূতন শব্দ সংকলন করিতে প্রবৃত্ত ইয়াছি। হাতে আয়ুৰ্বেদ ও তন্ত্রোক্ত শব্দ গুলির পুনরুদ্ধার হইয়া প্রচারিত হয় এমত চেষ্টা করা কর্তব্য। সময়ে সময়ে পূর্ব-প্রচলিত শব্দ গুলির এমন অপব্যবহার হইয়াছে যে তজ্জন্য ক্ষোভ উপস্থিত হয়। ৪৭ পৃষ্ঠার “পরিশ্রুত বারি" শীর্ষক প্রস্তাব পড়িলেই ই ঈদম হইবে সন্দেহ নাই। পাঠকগণ মনে রাখিবেন রসায়নশাস্ত্রের উৎপত্তিও আলােচনা করাই এই গ্রন্থেব উদ্দেশ্য তবে প্রসঙ্গক্রমে এই শাস্ত্রের ভিত্তিস্বরূপ কতকগুলি মূল তাৎপৰ্য সাধারণকে বিশরূপে বুঝাইবার চেষ্টা করা হইয়াছে। জটিল বচন ব সূত্রগুলি একবারে বর্জন কলা গিয়াছে। রসায়নশাস্ত্রের ইতিহাস আলােচনা করিলে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে প্রাচীন গ্রীক, আরব্য ও হিন্দুদিগের মধ্যে যে সমস্ত ভাব প্রচলিত ছিল তাহারা পরস্পর বিরোধী নয়। বরং অনিহিত সূত্র গুলি প্রায়ই এক রকম। এই সকল মতের সামঞ্জস্য বিধান করিবার চেষ্টা করা হইয়াছে। বাঙ্গালা ভাষায় “রসায়ন” শব্দ অারব্য “কিমিয়া” এবং ইংরাজী “কেমিষ্ট্রির পরিবর্তে । ব্যাশী নাৰী প্ৰচাৰিণী সা ও এই বিষয়ে ব্রতী হইয়া প্রশংসাহ কায্য করিতেছেন।