পাতা:নব্য রাসায়নী বিদ্যা ও তাহার উৎপত্তি - প্রফুল্লচন্দ্র রায়.pdf/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ও তাহার উৎপত্তি। উহা ভাসিতে থাকে।* এই কারণে লােকের ধারণা ছিল যে ধাতু মাত্রেই যৌগিক পদার্থ এবং লঘুতর ধাতুভস্মই ইহার অন্যতম উপ- দান। সাধারণত এই মত যুক্তিযুক্ত বলিয়া বােধ হইলেও ইহা যে ভ্ৰমসঙ্কুল তাহা পরে প্রতিপন্ন করা যাইবে। হিন্দু দার্শনিকগণ অন্য প্রকারে এই সমস্যার পূরণ করিতেন। তাঁহাদের মতে কাষ্ঠাদি পদার্থ সমূহ পঞ্চভূতাত্মক। ইহাদিগের বায়- বীয় উপাদানগুলি অগ্নি সংযােগে চলিয়া যায়, কেবল “ক্ষিতির অংশ টুকু অবশিষ্ট থাকে। ইহাই ভস্ম । সুতরাং যে পরিমাণ কাষ্ট বা ধাতু ভস্মীভূত হয়, ভস্মাবশিষ্ট পদার্থ তদপেক্ষা অনেক ঘু হইয়া থাকে। ইয়ুরােপীয় রাসায়নিক পণ্ডিতগণ বলিতেন যে ধাতুভস্ম এবং “ফ্লজিষ্টন” এই দুই যৌগিক পদার্থের সংযােগে ধাতু উৎপন্ন হয়। উত্তাপ প্রয়ােগে এই ফুজিষ্টন দূরীভূত হইলে কেবল ভস্ম পড়িয়া থাকে। আরব দেশীয় রাসায়নিক পণ্ডিতগণের মতে পদার্থ মাত্রই লবণ গন্ধক এবং পারদ সংযােগে উৎপন্ন ¢ গন্ধক থাকে বলিয়াই পদার্থ

  • মৃতং লােহং তদুদ্দিষ্টং বেখাপুর্ণাভিধানত

হংসবৎ তীৰ্য্যত ৰাৱিত্তমং পৱিকীৰ্তিতম্। + বৈশেষিক দর্শনমতে তৈলাদি দাহ্য পদার্থে “স্নেহ” বর্তমান আছে ; ইহাই অগ্নি প্রজ্জ্বলনের কারণ।

  • এই শব্দত্রয় দ্রব্যের গুণজ্ঞাপক বুঝিতে হইবে, অর্থাৎ

লণ অদাহ্যভাগ (ভম), দাহ ও তেজঃ, জ্যোতি ইত্যাদি। ধাতু মাত্রেই পাদেয় অংশ আছে বলিয়া ধাতুৰ গুণবিশিষ্ট (তুর ‘রণ' ও পুনর্জীবিত করণ" অষ্টব্য)