পাতা:নব্য রাসায়নী বিদ্যা ও তাহার উৎপত্তি - প্রফুল্লচন্দ্র রায়.pdf/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
নব্য রাসায়নী বিদ্যা ও তাহার উৎপত্তি

ও তাহার উৎপত্তি। চাই। 9 আবশ্যক। তাহার নিমিত্ত উত্তাপ যন্ত্রের গঠন বিশিষ্ট প্রকারে হওয়া তাহা না হইলে উত্তাপ সংযােগে পারদ কেবল উৰ্দ্ধগামী হইবে (উবিয়া যাইবে ); এই কারণে রসাবে “সন্ত্রবিদ্য। মহাবলা” উক্ত হইয়াছে এবং খসসিদ্ধিপ্রদায়কগণ ঔষধ ব্যতিরেকেও পারদ ভস্মীকরণ সম্বন্ধে বিস্ময় ও প্রশংসা প্রকাশ করিয়াছেন।* তরল চপল পারদের সহিত অন্য কোন বস্তু সংযুক্ত না করিয়া ও উহার কঠিন ( solid ) লোহিত বর্ণ ভন্মে পরিণতি অত্যন্ত বিস্ময়কর ব্যাপার বলিয়া পরিগণিত। এই লােহিত স্মকে প্রাচীন আরবীয় রাসায়নিকগণ inercurius (alcinatus per s৫ বা প্রকৃত পদ ভস্ম নামে অভিহিত করিতেন। প্রীষ্টলি এই লােহিতভষ্ম লইয়া নানাবিধ পরীক্ষা করেন । একদা আতসকাচা দ্বারা সূৰ্যৰশ্মি কেন্দ্রীভূত করিয়া এই লােতি ভন্ম উত্তপ্ত করিতেছিলেন, তাতে এক প্রকার “বা, (গ্যাস) নির্গত হইতে লাগিল। প্রীষ্টলি এই নূতন বায়ুর একটা অভিনব গুণ দেখিয়া বিস্মিত হইলেন যে ইহাতে দাহ্য পদার্থ সকল অতি সহজে অত্যুজ্জ্বল দীপ্তি সহকারে দগ্ধ হইতে লাগিল। পাবদের পরিবর্তে যদি সীসক গলান যায় এবং ক্রম.গত লৌহদণ্ড দ্বারা মন্থন করা যায় তাহা হইলেও এক প্রকার লােহিত বর্ণ ভস্ম উৎ- পন্ন হয়, তাহাই তান্ত্রিক শাস্ত্রোক্ত ‘নাগসিন্দুর’, চলিত ভাষায় ইহাকে মেটে সিঁদূর বলে। ৯ জারণে সারণে চৈব বসরাজ স্য রঞ্জন যমেৰ পৰং কৰ্ম্ম যন্ত্রবিদ্য। মহালা ঔষধিবহিতক্ষায়ং হঠাৎ যন্ত্রেন বধ্যতে তনা যুবলং চৈকং বিলজ্যং বিনিতা। -সার্ণব। । আতস কাচ (Burning glass) সাহায্যে যথেষ্ট উত্তাপ প্রাপ্ত হওয়া যাইতে পারে। কথিত আছে যে সিরাকুক অবরােধের সময় আর্কিমিডিস ইহার খাৱা ৰােমীয় বিদগ্ধ পােত কয়েন।