নব্য সায়নী বিদ্যা রাজধানী ষ্টকহম নগরে এক দরিদ্র যুবক কোন ঔষধালয়ের একটা নিভৃত প্রান্তে বসিয়া স্বীয় প্রতিভাবলে উদ্ভাবিত প্রণালীমতে নানা- বিধ পরীক্ষা করিতে করিতে অম্লজান বায়ু স্বতন্ত্র ভাবে আবিষ্কার করেন। একটা কাচের কৃপীতে সাের রাখিয়া বালুকা যন্ত্রের উপর পচণ্ড উত্তাপ দেওয়া হইতেছে-অম্লজান বায়ু নির্গত হইয়া ক ‘ফুকনিয়” (bladder) মধ্যে প্রবেশ করিতেছে এবং উহা ক্রমশঃ স্ফীত হইতেছে। এই প্রকারে “বায়ু” সংগ্রহ করিতে পারা যায় বটে কিন্তু উহা প্রশস্ত উপায় না—কারণ এস্থলে “বায়ুর” সহিত সাধাৰণ বাতাস মিশ্রিত হইয়া থাকে। যে সময়ের কথা বলা হইতেছে সে সময়ে ইংলণ্ড ও সুইডেনের মধ্যে যাতায়াতের সুবিধা ছিলনা। সুতরাং প্রীষ্টলি ও উক্ত সুইডেনবাসী শীলে (Scheele) সমসাময়িক হইলেও কেহ কাহারও পরীক্ষার বিষয় পরিজ্ঞাত ছিলেন না। প্রীষ্টলি এই আবিষ্কার করিলেন বটে কিন্তু তিনি ইহার নিগুঢ় মৰ্ম্ম সম্যক গ্রহণ করিতে সক্ষম হন নাই। বংশপরাগত সংস্কার গুলি মানব হৃদয়ে এমন দৃঢ়রূপে বদ্ধমূল থাকে যে নূতন কালােক পাইলেও আমরা তাহার সাহায্যে সহসা পথ দেখিতে পাই না।
পাতা:নব্য রাসায়নী বিদ্যা ও তাহার উৎপত্তি - প্রফুল্লচন্দ্র রায়.pdf/২০
অবয়ব
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
৮
নব্য রাসায়নী বিদ্যা ও তাহার উৎপত্তি
৮