বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নব্য রাসায়নী বিদ্যা ও তাহার উৎপত্তি - প্রফুল্লচন্দ্র রায়.pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ও তাহার উৎপত্তি। আমাদের দেশে জাতিভেদ প্রথা বহুকাল হইতে সমাজের সুরে স্তর এমন প্রবেশ করিয়াছে যে শিক্ষিত হইয়াও আমরা তাহার প্রভাব এড়াইতে পারিনা। চাউল কল দিয়া কিছু কাল সিদ্ধ করিলে ভাত হয়। এই প্রক্রিয়া হিন্দুই হউক বা মুসলমানই হউক, ব্রাহ্মণ হউক বা চণ্ডাল হউক সেই করিবে তাহার দ্বারা সম্পন্ন হতে পারে। কিন্তু শুদ্রের “হাতে ব্রাহ্মণ ভােক্তন করিবেন না। যদি বুঝিতাম শুদ্রের দ্বারা অন্ন পাক হইলে উহা ভালরূপ প্রস্তুত হয় না, বা তাহার মধ্যে কোন প্রকার বিষাক্ত পদার্থ প্রবিষ্ট হয় তাহা হইলে কোন আপত্তি ছিল না। কিন্তু তাহাই কি ? যদি কোন "উচ্চ- বর্ণকে জিজ্ঞাসা করেন বে হীনবর্ণের প্রস্তুত জব্যঞ্জন ভােজনে কি দোষ তাহা হইলে তাহার কোন যুক্তিযুক্ত উত্তর পাইবেন না। খাইতে নাই” এই পর্যন্ত - যিনি বড় শাস্ত্রজ্ঞ তিনি হয় ত - সংহিতা কইতে দুই একটা শ্লোক আবৃত্তি করিবেন। প্রীষ্টলিও প্রচলিত মতের বাহিরে যাইতে সাহসী হন নাই। অধ্যায়ে দেখা যাইবে যে তাহার আবিস্কারের প্রকৃত মৰ্ম্ম গ্রহণ করিতে কেবল ফরাসী দেশে একজন বৈজ্ঞানিক সমর্থ হইয়াছিলেন।