পাতা:নব্য রাসায়নী বিদ্যা ও তাহার উৎপত্তি - প্রফুল্লচন্দ্র রায়.pdf/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ও তাহার উৎপত্তি। অম্লজান আবিষ্কার সম্বন্ধে নানা বাদানুবাদ চলিয়া আসিতেছে। কেহ কেহ বলেন যে এই প্রসঙ্গে প্রীষ্টলির নামই বিশেষ উল্লেখযােগ্য সুইডেন দেশে শীলে ( Scheele) নামক পণ্ডিত শ্ৰীষ্টলির কিছু দিন পূর্বে এই নুতন বায়ু আবিষ্কার করিয়াছিলেন ইহা প্রতিপন্ন হইয়াছে। কিন্তু প্রীষ্টলি বা শীলে কেহই ইহার প্রকৃত গুণ বা তত্ত্ব অবধারণ করিতে পারেন নাই। লবোয়াসিয়ে কেবল ইহার প্রকৃত মৰ্ম্ম প্রকাশ করিয়া নব্যরসায়ন শাস্ত্রের জন্মদান করেন। ইনিই প্রথমে পরিমাণমূলক ( quantitativc) রসায়নশাস্ত্রের প্রচলন করেন। পাঠকগণ এখন বুঝতে পারিবেন যে লৌহদি পুটপাক করিতে হইলে সা ঢাকা না দিয়া আলগা রাখিলে শীঘ্রই ধাতু ভস্মাকারে পরি- ণত হয়। পরীক্ষা দ্বারা প্রতিপন্ন হইয়াছে যে প্রতি ৭ ভাগ ওজনের লৌহ ৩ ভাগ ওজনের অজানের সহিত মিলিত হইয়া ১০ ভাগ ওজনের মণ্ডরে পরিণত হয়। রসার্ণব তন্ত্রে পুটপাকের এই ব্যবস্থা দৃষ্ট হয় যথা- শ্রীভৈরব উবাচ স্থালিকায়াং নিধায়াের্ফং স্থালীমনা দৃঢ়াং কুরু সন্ধি বিলেপয়েৎ ৰত্নান্মদা বন্ত্রেন চৈব হি। যদি সরা আবদ্ধ রাখা যায় অর্থাৎ খােল বা আলগা না থাকে তাহা হইলে লৌহ কণিকাগুলি অতি অল্প পরিমাণে বায়ুর সংস্পর্শে আসিতে পারে; সুতরাং এই প্রক্রিয়া পুনঃপুনঃ সম্পাদন না করিলে লৌহ সম্পূর্ণরূপে ভস্মে পরিণত হয় না। অজানের সহিত লৌহের সংযােগই লৌহের মারণ—এই মূল তাৎপৰ্য সম্যকরূপে হৃদয়ঙ্গম হইলে এত শ্রমসাধ্য শত বা সহ পুটের ব্যবস্থার প্রয়ােজন হইত না, .