পাতা:নব্য রাসায়নী বিদ্যা ও তাহার উৎপত্তি - প্রফুল্লচন্দ্র রায়.pdf/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নব্য রসায়নী বিদ্যা ৰা ইহার স্বপক্ষে ওকালতি করিবারও আবশ্যক ছিলনা। শাস্ত্রকার বলিতেছেন, যথাঃ- কাচপাত্রের “কিঞ্চ পটবাহুল্যং গুণাধিক্যায়। শতাদিস্তু সহস্ৰন্তু পুটো দেয়ে রসায়নে।” আবার প্রক্রিয়া সার্থক হইবে বলিয়া পূজাদির ও ব্যবস্থা দৃষ্ট হয়। এই গেল পুটপাকের কথা। লাবােয়াসিয়ে সীসা ও রাঙ ভিতর পুরিয়া পাত্রের মুখ উত্তাপ দ্বারা দ্রবীভূত করিয়া অর্থাৎ গালাইয়া একেবারে বন্ধ করিয়া ফেলেন এবং নিম্ন হইতে উত্তাপ প্রদান করেন। তিনি দেখিলেন ইহাতে ওজনের হ্রাস বৃদ্ধি ( কতি বা বাড়তি ) হইল না; কিন্তু যেমন পাত্রের মুখ ভাঙ্গিয়া খুলিয়া ফেলিলেন অমনি বাহিরের বায়ু প্রবেশ করিয়া ধাতুর সহিত মিলিত হইয়া ওজন বৃদ্ধি করিয়া দিল। এস্থলে ইহাও স্মরণ রাখা উচিত যে এই সময়ের প্রায় দেড় শত বৎসর পূর্বে অর্থাৎ ১৬৩০খৃঃ অব্দে জা রে (Jean Rey)নামক ফরাসী দেশীয় পণ্ডিত বুঝিয়াছিলেন যে রাঙ ও সীসা বায়ুর সংস্পর্শে গলা- ইলে ক্রমশঃ ওজনে বাড়ে এবং তাহার কারণ এই দশাইয়াছিলেন যে যেমন বালুকারাশির উপর জল ঢালিয়া দিলে বালুকণাগুলি জল টানিয়া লয়, তেমনি ধাতুভস্মও বাযুকণার সহিত সংলগ্ন হইয়া যায়। পাঠকগণ বুঝিবেন যে ইহাতে সত্যের কিঞ্চিৎ আভাষ আছে মাত্র। প্রকৃত ব্যাখ্যার জন্য আমরা মহানুভব লাবােয়াসিয়ের নিকটই ঋণী। খাতু ভস্ম হইবার সময় যে ওজন বাড়ে বিখ্যাত রবার্ট বয়েল ( Robert Boyle) এরও এরূপ ধারণা ছিল। ১৬৭৫ খৃঃ অব্দে তিনি এই মত প্রকাশ করেন যে উত্তাপ পাইলে ধাতুর পরমাণুগুলি অখি পরমাণুর সহিত মিলিত হয়। অগ্নি বা তে পঞ্চ ভূতের অন্যতম, 1