পাতা:নব্য রাসায়নী বিদ্যা ও তাহার উৎপত্তি - প্রফুল্লচন্দ্র রায়.pdf/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ও তাহার উৎপত্তি। অর্থাৎ মৌলিক পদার্থ বিশেষ। এক পদার্থ অন্য পদার্থের সহিত মিলিত হইলে যে মিশ্র পদার্থের ওজন বাড়িবে ইহার বিচিত্র কি? জগতে যত কিছু সত্য বা তত্ত্ব আবিষ্কার হইয়াছে তাহা ব্যক্তি বিশেষের দ্বারা হয় নাই। কত মেধাবী ও চিন্তাশীল ব্যক্তি নানাবিধ বিষয়ে ধ্যান ধারণা করিয়া গিয়াছেন। পরে যিনি যতটুকু আলাে পাইয়াছেন তাহার সাহায্যে পথ দেখিয়া অগ্রসর হইয়াছেন। এই প্রকারে ক্রমবিকাশ দ্বারা জগতে সকল বিষয়ের উন্নতি সাধিত হইয়াছে। সাধারণতঃ যাহাকে আমরা “বাতাস” বলি তাহা অম্লজান (oxygen) ও যবক্ষারজান ( nitrogen) এই দুই বায়বীয় পদার্থের (গ্যাসের) সংমিশ্রণ মাত্র*। যখন যশদ, সীসক প্রভৃতি ধাতু গলিত ( তরল) অবস্থায় ক্রমাগত লৌহ দণ্ড দ্বারা মথিত হয় তখন তারা এই অফানের সহিত মিলিত হইয়া ধাতু ভশে পরিণত হয়, এবং যখন বরুড় বায়ুর মধ্যে পারদ ও অন্যান্য ধাতু উত্তপ্ত হয় (১১ পৃষ্ঠা দেখুন) তখন যে “বায়ু” অবশিষ্ট থাকে তাহাকে যবক্ষারজান বা নাইট্রোজেন কহে। পারদ, বঙ্গ ষশদ প্রভৃতি ধাতু পূর্বোক্ত প্রকারে ‘দগ্ধ’ হইলে কঠিন

  • এতদ্ভিন্ন বাতাসে সর্বদা জলীয় বাষ্প ও অঙ্গাৱক ৰায়ু (কার্বনিক এসিড

গ্যাস) এবং সামান্য পৰিমাণে আগণ (argon) নিয়ন (neon) জিনন (xenon) crypton (ক্রীপটন) আছে। শ্ৰীযুক্ত অক্ষয়কুমার দত্ত মহাশয় যৰক্ষাঙ্গন নাম প্রথমে ব্যবহার করেন। ইহা অন্যাৰ্থ বােধক। সােরার (nitre) কোন Fiyo ata oftant at ati “History of Hindu Chemistry," Second ed. p. 182 দ্রষ্টব্য। সুতরাং নাইট্রোজেনের নুতন সংজ্ঞা দান করা দুরূহ। অতএব আমরা বাঙ্গান কথাটাই ব্যবহার করিলাম।