পাতা:নব্য রাসায়নী বিদ্যা ও তাহার উৎপত্তি - প্রফুল্লচন্দ্র রায়.pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নব্য রসায়ন বিদ্যা নয়। দিয়া বােতলের মধ্যে কিঞ্চিৎ জল মিশ্রিত গন্ধদ্রাবক ঢাবিতেই দেখা যাইবে যে তাহা হইতে একপ্রকার বায়বীয় পদার্থ উৎপন্ন হইতেছে। বােতলের গাত্র স্পর্শ করিলে পূৰ্ব্বাপেক্ষা অনেক উষ্ণ বোধ হইবে। অর্থাৎ বোতলের ভিতর দস্তা বা লৌহের সহিত গন্ধদ্রাবকের এক প্রকার রাসায়নিক ক্রিয়া আরম্ভ হইয়াছে। এদিকে বক্র নলের মুখ দিয়া পাত্রস্থিত জলের ভিতর হইতে এক প্রকার বায়ু” বহির্মত হইতেছে। যে বায়ু প্রথম প্রথম বাহির হইয়া আসিবে, তাহা বিশুদ্ধ উহার সহিত সাধারণ বাতাস মিশ্রিত বক্তৃ নলের মৃখ হইতে ঐ অবিশুদ্ধ বায়ু বাহির হইয়া বাতাসে মিলিয়া অদৃশ্য হইয়া যাইবে। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করিলেই সমুদয় মিত্র বায়ু বাহির হইবে ও তখন বােতল হইতে যে বায়ু বাহির হইতে থাকিবে তাহ বিশুদ্ধ দাহ্য বায়ু, তাহাতে বাতাসের সংস্পর্শও পাকিবে না। এখন একটা স্তম্ভাকার জলপূর্ণ কাচপাত্র উপুড় করিয়া বক্রনলের মুখের উপর ধৰিলে বিশুদ্ধ দাহ্য বায়ু জল ভেদ করিয়া উপরে উঠিতে থাকিবে ও অল্পক্ষণেই শুন্তাকার পাত্রটি এই বায়ু ত পূর্ণ ইবে। তখন ঐ বায়ুপূর্ণ পাত্র জল হইতে বাহির করিয়া অগ্নি সংযোগ করিলেই উক্ত বায়ু অলিতে থাকিবে। ইহা দ্বারা সপ্রমাণ হইল যে দন্তা ও গন্ধক দ্রাবকের য়ায়নিক সংযােগে এক প্রকার “দাহ” বায়ু উৎপন্ন ই- য়ছে। যদি অগ্নি সংযােগের সময় কোনরূপ শব্দ বা আওয়াজ শােনা যায় তাহা হইলেই বুঝিতে হইবে যে সাধারণ বায়ু দাহ্য বায়ুর সহিত এখনও মিশ্রিত আছে। সুতরাং আর একটু অপেক্ষা করিয়া পূর্বোক্ত প্রক্রিয়া মতে ‘দাহ্য বায়ু সংগ্রহ পূর্বক পুনর্বার পরীক্ষা করা উচিত।