ও তাহার উৎপত্তি। sa শ্ৰীষ্টলি এই সময়ে কয়েকটা পরীক্ষা করেন তাহার কিঞ্চিৎ আভাস দেওয়া হইতেছে। তিনি একটা পাত্র কিয়দংশ জলে পূর্ণ করিয়া তাহার উপর একটা হালকা মুচি ( crucible) ভাসাইয়া দিলেন। এবং মুচির মধ্যে মেটেসিদুর রাখি। দিলেন। পরে একটী শুভাকৃতি কাচপাত্র (একমুখ বন্ধ অপর মুখ থােলা) পূর্বোক্ত দাহ্য বায়ুতে পূর্ণ করিয়া জলের উপর স্থাপন করি- লেন, অর্থাৎ মুচিন্তিত মেটে সিদুর দাহ্যবায়ুর মধ্যে জর উপর ভাসিতে লাগিল। পরিশেষে জাতস কাচের যায়। সূর্যরশ্মি ঘনীভূত করিয়া উহার উপর নিপাতিত করিলেন। তিনি। বিস্ময় সহকারে দেখিতে লাগিলেন যে মেটে সিদূর উত্তপ্ত হইয়া পুন- রায় সীসাকারে (ধাতুরূপে ) পরিণত এবং দাহ্য বায়ুও ক্রমশ: অদৃশ্য হইতে লাগিল। এদিকে শুক্তাকৃতি পাত্রের ভিতর জল উথিত হইয়া কুম পাত্রটা জলে পূর্ণ হইয়া গেল। সুতরাং উক্ত দাহ্য ব য়ু যে ধাতু হইতেই পরিত্যক্ত হয় এবং মারিত ধাতু বা ধাতুভম্মের সহিত উহা পুনৰ্ম্মিলিত হইলে ধাতু পুনর্জীবিত হয় প্রাচীন পাওদিগের এই অমূলক ধারণা উপরােক্ত পরীক্ষার ফলস্বরূপ আরও বলবতী হইয়া উঠিল । অর্থাৎ দাহ্য বায়ু যে ধাতু একটী উপাদান বা অংশবিশেষ সে বিষয়ে তাহাদের বিশ্বাস আরও বদ্ধমূল হইল। পাঠকগণ এখন বেশ বুঝিতে পারিবেন যে একেতাে বহুদিনের সংস্কার সহজে অপনীত হয় না। তার পর আবার প্রমাণ হইল যে দাহ্যবায়ু ধাতুর একটী উপাদান, সুতরাং ধাতু যে মৌলিক পদার্থ নয় সে বিষয়ে তখন আর কোন সন্দেহ রহিল না। এগুলি পূর্বমত আর একটা পরীক্ষা করিয়াছিলেন। এবার মেটেসিদুরের পরিবর্তে
পাতা:নব্য রাসায়নী বিদ্যা ও তাহার উৎপত্তি - প্রফুল্লচন্দ্র রায়.pdf/৩১
অবয়ব