তৃতীয় অধ্যায়। কণাদমুনি, জন ডালটন ও পরমাণুবাদ। । অতি প্রাচীনকাল হইতেই ভারতবর্ষে পদার্থ অনশ্বর ও পরমাণুসমষ্টি দ্বারা গঠিত এই মত চলিয়া আসিতেছে। মহর্ষি কপিল বলেন, “না বস্তুনেন। বস্তুসিন্ধি অর্থাৎ পূৰ্বস্থিত বস্তু না থাকিলে আপন হইতে বা স্বত: কোন বস্তু উৎপন্ন হয় বৈশেষিক দর্শনেও এই মতের পূর্ণ বিকাশ দেখা যায়। কণাদ মুনি বলেন--জল, বায়ু, মৃত্তিকা, তেজঃ এই চারি প্রকার জড় পদার্থের পরমাণু মাত্রই নিত্য, আর পরমাণুসমষ্টিস্বরূপ ঘটপটাদি সাবয়ব দ্রব্য অনিত্য। আমাদের দেহও প্রকৃত পক্ষে নশ্বর নয়। মৃত্যুর পর যে পঞ্চভূতের সমবায়ে ইহার সৃষ্টি হইয়াছিল সেই পঞ্চভূতে পুনৰ্ব্বার লীন হয় অর্থাৎ পঞ্চত্ব প্রাপ্তি হয়। বৈশেষিক দশনের অনেক পূর্বেও এই মতের আভাষ পাওয়া যায়। বৃহদা- রণ্যক উপনিষদে জানা যায় যে মৃত্যুর পর দে মৃত্তিকাতে লীন হয়। কণাদ মতে অদৃষ্ট অর্থাৎ অজ্ঞাত কারণ বিশেষ ধারা উল্লি- খিত পরমাণু সমূহের সংযােগে বিশ্ব সংসার উৎপন্ন হইয়াছে। দুই পার্থিব পরমাণু সংযুক্ত হইয়া এক ঘণুক হয়। তিন জণুকে এক ত্রসরেণু হয়। এইরূপ উত্তরােত্তর স্থূলত? অবয়ব উৎপন্ন হইয়া অবশেষে সমুদায় পার্থিব পদার্থ গঠিত হয়। গ্রীস দেশীয় পণ্ডিতদিগের মধ্যেও এই
পাতা:নব্য রাসায়নী বিদ্যা ও তাহার উৎপত্তি - প্রফুল্লচন্দ্র রায়.pdf/৩৯
অবয়ব