পাতা:নব্য রাসায়নী বিদ্যা ও তাহার উৎপত্তি - প্রফুল্লচন্দ্র রায়.pdf/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
২৮
নব্য রাসায়নী বিদ্যা ও তাহার উৎপত্তি
২৮

২৮ নব্য রসায়নী বিদ্যা প্রকার মত প্রকীৰ্ত্তিত হইয়াছিল তবে সময়ের পৌঝাপৰ্য্য বিচার করিলে প্রতীয়মান হয় যে ভারতে এই মত অনেক পূর্বে প্রচলিত ছিল। ‘অন্যান্য দর্শনকার অপেক্ষা কণাদের জড় পদার্থের জ্ঞানানুশীলনে সমধিক প্রবৃত্তি জন্মে দেখা যাইতেছে । তিনি পরমাণুবাদ সংস্থাপন করিয়া সে বিষয়ের সূত্রপাত করেন। মেঘ, বিদ্যুৎ, বজ্রাঘাত, ভূমিকম্প, বৃক্ষের রস-সঞ্চরণ, করকা ও হিমশিলা, চুম্বক চৌম্বকাণ, জড়ের সংযােগবিভাগাদি ও গত্যাদি ক্রিয়া প্রভৃতি নানা ব্যাপারে তাহার চিত্তাকর্ষণ হয়। কিন্তু আক্ষেপের বিষয় এই যে, পতেই অবশেষ হইল। অঙ্কুর রােপিত হইল, কিন্তু বর্ধিত, পুষ্পিত ও ফলিত হইল । উহ। সংস্কৃত, পরিবর্ধিত ও বহুলীকৃত করিয়া ফম্প-শােভায় সুশােভিত করা ভারতভূমির ভাগ্যে ঘটিল না। কালক্রমে সে সৌভাগ্য বেক, কোন্ত ও হলেটর জন্মভূমিতে গিয়া প্রকাশিত ও প্রানুভূত হইয়া উঠিল।” (অক্ষয় কুমার দত্ত) পরমাণু নিত্য আবার অবিভাজ্য। এক টুকরা গন্ধক লইয়া শিলার উপর জলে ঘসিলে অতি কোমল চূর্ণে পরিণত হয়। চূর্ণ এত সূক্ষ্ম যে শুকাইলে উড়িয়া যায় এবং দুই অঙ্গুলির মধ্যে রাখিয়া মাড়িলে অতি মােলায়েম ঠেকে। একটুকু এই গুড়া অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে দেখিলে বড় বড় কণিকা সমষ্টির মত প্রতীয়- মান হইবে। তাহার কারণ যে সমস্ত রেণু স্থূল দৃষ্টিতে অতি সূক্ষ্ম বোধ হয় অণুবীক্ষণ যন্ত্রে তাহা অনেক বড় দেখায়। এখন কথা হইতেছে যদি কোন পদার্থকে ক্রমান্বয়ে এই প্রকার সুক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম ভাগে বিভক্ত করা যায় তবে কোথায় তাহার শেষ হইবে?