পাতা:নব্য রাসায়নী বিদ্যা ও তাহার উৎপত্তি - প্রফুল্লচন্দ্র রায়.pdf/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
২৯
নব্য রাসায়নী বিদ্যা ও তাহার উৎপত্তি
২৯

ও তাহার উৎপত্তি। সূক্ষ্মদপিসূক্ষ্ম হইলেও অবশেষে ইহার চরম সীমা পাওয়া যাইবে। পণ্ডিতেরা স্থির করিলেন এমন এক অবস্থায় উপনীত হইতে হইবে যখন পদার্থ মাত্রেরই কণিকা অবিভাজ্য হইয়া যায়; এই অবিভাজ্য কণিকাই পরমাণু। আর একটা কথা উঠিতেছে। পুব্বে উল্লেখ করা গিয়াছে রস ও গন্ধক সম্ভুত হিঙ্গল। পারা আর গন্ধক একত্র খলে মাড়িলে প্রথমত কৃষ্ণবর্ণ ধূলিবৎ এক প্রকার নূতন পদার্থ উৎপন্ন হয়। আয়ুর্বেদে ইহা কজ্জ্বলী নামে অভিহিত। পারদ তরল পদার্থ আর গন্ধক কঠিন। কিন্তু একত্র মিশ্রিত হইলে উভয়ের পয়ম ও পরস্পর আকৃষ্ট হইয়া তন্মধ্যে রাসায়নিক ক্রিয়া সংঘটিত হয়। এই কৃষ্ণবর্ণ নুতন পদার্থ পারদও নয় গন্ধকও নয়। পূর্বে দেখা গিয়াছে এক ভাগ বা আয়তনের অম্লজান ও দুই ভাগ বা আয়তনের উদজান* এই দুই অদৃশ্য বায়ু তড়িৎস্ফুলিঙ্গের সংযােগে মিলিত হইয়া জল উৎপাদন করে। এখন কথা হইতেছে গন্ধক যে কোন (যাগ করিলে বজ্জলী হইবে কি? চক্রদত্ত বনে ইয়াদিগকে সমান ভাগ লইতে হইবো। বাস্তবিক আয়ুৰ্বেদ মতে প্রস্তুত কজ্জলী বা সল্প টা পরীক্ষা করিলে দেখা যায় যে ইহাতে অনেক গন্ধক কণিকা সহিত

  • অথবা ৮ ভাগ ওজনের অম্লজান এক ভাগ ওজনের উদজান।

-শুদ্ধৌ সমানো বসগন্ধকৌ সম্মদ কলাভন্তু কুৎত্রে দৃঢ়ায়ে। ওজনে ইয়া পারদের +

রসপটিকা খ্যাত নিবদ্ধ চক্রপাণিনা অন্যস্থানে চক্রপাণি বলেন- রসগন্ধকয়ে কযে। প্রত্যেক গ্রাহমেকত: তন্মর্দনাচ্ছিলাখলে বঙ্গত কণীকৃতমু।