পাতা:নব্য রাসায়নী বিদ্যা ও তাহার উৎপত্তি - প্রফুল্লচন্দ্র রায়.pdf/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
৩০
নব্য রাসায়নী বিদ্যা ও তাহার উৎপত্তি
৩০

নব্য রসায়নী বিদ্যা যুক্ত না হইয়া অযুজা অবস্থায় বর্তমান থাকে। অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষে এমন কি উনবিংশ শতাব্দীর প্রারম্ভ পৰ্যন্ত ইউরােপে বৈজ্ঞানিকদিগের মধ্যে এই বিষয়ে ঘাের বাদানুবাদ চলিয়াছিল। এক পক্ষ বলেন যে দুই মৌলিক পদার্থ যে কোন ভাগে পরস্পরের সহিত মিলিত ইয়া নূতন যৌগিক পদার্থ উৎপাদন করে অপর পক্ষও দৃঢ়তার সহিত পরীক্ষার দ্বারা প্রমাণ করেন যে তাহারা নির্দিষ্ট পরিমাণ মত (অনু- পাত অনুসারে) মিলিত হয়। এমন সময়ে জন ডালটন JohnDalton) আবির্ভূত হইলেন। লাৰােয়াসিয়ের সময় কইতে প্রায় ২৫ বৎসর ধরিয়া রাসায়নিকগণ অনেক যৌগিক পদার্থের বিশ্লেষণ করিয়াছিলেন। ডালটন স্বয়ংও অনেকগুলি যৌগিক পদার্থ বিশ্লিষ্ট করিয়া পরীক্ষা করেন। তিনি মৌলিক পদার্থের সংযোগ ও যৌগিক পদার্থের বিয়েতের ভিতর একটা সুন্দর নিয়ম নিহিত দেখিয়া চমৎকৃত হইতেন। দুই একটা উদাহরণ দিলে উহা পাঠকবর্গের সহজে বােধগম্য হইবে। ইতি- পূৰ্বে বঙ্গভম্বের উল্লেখ করা গিয়াছে; প্রস্তুত প্রণালী ভেদে দুই প্রকার বঙ্গভস্থ পাওয়া যায়। পরীক্ষা দ্বারা প্রমানিত হইয়াছে যে এক প্রকার ভস্মে ১৫ ভাগ ওজনে রাঙের সহিত দুই ভাগ ওজনে অম্লজান বায়ুসংযুক্ত হয়। আবার ঠিক সেই ১৫ ভাগ ওজনের রাঙের সহিত ৪ ভাগ ওজনে অম্লজান বায়ু সংযুক্ত হইয়া দ্বিতীয় প্রকার ভন্ম উৎপন্ন কয়লা খােল। বাতাসে পুড়িলে এক রকম বায়ু জন্মে, তাহাতে অম্লজানের ভাগ অধিক থাকে, উহার নাম অঙ্গারকা-অরি কয়লা অয় বাতাসে পুড়িলে আর এক রকম বায়ু জন্মে ; উহা বড়ই বিসাক্ত, উহাতে অনুদানের ভাগ অপেক্ষাকৃত অল্প থাকে, রাসায়- নিক বিশ্লেষণ দ্বারা স্থিরীকৃত হইয়াছে যে এই বিষাক্ত