পাতা:নব্য রাসায়নী বিদ্যা ও তাহার উৎপত্তি - প্রফুল্লচন্দ্র রায়.pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
৩৫
নব্য রাসায়নী বিদ্যা ও তাহার উৎপত্তি
৩৫

নব্য রসায়নী বিদ্যা তাহাদিগকে পরস্পর পৃথক করিবার জন্য প্রকারভেদে (উহাদের প্রকৃতি বা গুণানুসারে) নানা রকম উপায় অবলম্বিত হয়। ধান হইতে চাউল বাহির করিবার সময় কি উপায়ে তুষ পৃথক করা হয় তাহা বােধ হয় সকলেই জানেন। আবার চাউলের সঙ্গে যদি বেশী গুড় থাকে তাহাও পৃথক করিবার অতি সহজ উপায় আছে। কলিকাতার রাস্তায় প্রায়ই দেখা যায় যে মুদী পসারিগণ একটী ধাম মাটিতে রাখিয়া অপর একটা ধামার চাউল একটু উচ্চ হইতে উহার ভিতর ঢানিতে থাকে তাহাতে বাতাসে গুড় উড়িয়া যায়। এ ত গেল সহজ উপায়। মনে করুন চিনির সহিত অধিক পরিমাণে ধুলা মাটা মিশ্রিত আছে। এবার একটু মুষকিল-ধুলাও ভারি চিনিও ভারি, এবার কুলার সাহায্যে চলিবে না। অন্য ‘ফিকির চাই। এই অপরিষ্কার চিনি উপযুক্ত পরিমাণে জলে ছাড়িয়া দিতে হইবে এবং একটি কাটি দ্বারা ভালরূপ নাড়াচাড়া করিতে হইবে। চিনি এলে সম্পূর্ণরূপ গলিয়া যাইবে এবং আশু বােধ হইবে যে ধুলা মাটি ও ঐ সঙ্গে গলিয়া গিয়াছে, কিন্তু তাহা নয়। ধুলার অতি সুক্ষ্ম কণিকাগুলি জলে ভাসমান ( suspended ) effort i এক দিন পরে যখন এই জল “থিতিছে”, তখন দেখিবেন যে পাত্রের নীচে মাটীর স্তর পড়িয়াছে। আস্তে আস্তে উপরের পরিষ্কার হল অপর একটা পাত্রে ঢালিয়া লইতে হইবে।* অনেক স্থলে ব্যবসায়িগণ ক্যাধি কাপড়ের ছানী করিয়া হাফিয়া লয়েন। এই পরিষ্কার জল মৃদু তাপে (আলে) শুকাইলে চিনি পুনার

  • বর্ষাকালে যখন গঙ্গায় “চল" নামে-গৃহগণ এই অপৰিষ্কার জল কলসীতে

এক দিন যাবৎ একটু ফিটকিরি বা নিম্মল দিয়া রাখিয়া দেন। জল এই প্রকারে যিতিলে ময়লা শাটা পায়ের নীচে জমে।