পাতা:নব্য রাসায়নী বিদ্যা ও তাহার উৎপত্তি - প্রফুল্লচন্দ্র রায়.pdf/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
৪০
নব্য রাসায়নী বিদ্যা ও তাহার উৎপত্তি
৪০

৩ তাহার উৎপত্তি। পাঠকগণ এমন মনে করিবেন না যে এতক্ষণ অনধিকার চর্চা করা হইতেছে। কজ্জ্বলী হইতে কি প্রকারে রসসিন্দুর প্রস্তুত হয় তাহা এখন সহজেই বােধগম্য হইবেক। এই প্রক্রিয়াও উর্ধপাতন বই আর কিছুই নয়। রসেক্রচিন্তামণিকার একটী বড় আবশ্যক বিষয় বলিতে তুলিয়া গিয়াছেন। কিন্তু রসেসারসংগ্রহে সে কটা লক্ষিত হয় না। ইহাতে স্পষ্ট উল্লেখ রহিয়াছে- “স্ফোটয়িত্ব। তু মুক্তাভমূর্ধলগ্নং বলিংত্যজেৎ অধঃস্থ রসসিন্দুরং সর্বেরােগেযু যােজয়েৎ”। যাহার। স্বহস্তে রসসিন্দুর প্রস্তুত করিয়াছেন তাহারা জানেন যে রসসিন্দুর ও গন্ধক উভয়েই এই প্রক্রিয়া দ্বারা উৰ্দ্ধগ হয় (“উপে যায়') এই কারণে উদ্ধলগ্ন গন্ধক পরিত্যাগ করিয়া জধঃস্থ উজ্জল দানাদার ও রক্তাভ রসসির গ্রহণ করা হয়। এখন বিবেচনা করিয়া দেখা যাক এই গন্ধক কোথা হইতে আসিল ? •‘অবস্তু হইতে বস্তুর উৎ- পত্তি হয় না"; গন্ধক নূতন সৃষ্ট হইল এমত হইতে পারে না। একটু সামান্য প্রণিধান করিলেই ইহা বেশ হৃদয়ঙ্গম হইবে। ২৫ পল পারদ ২ পল মাত্র গন্ধকের সহিত “রাসায়নিক রূপে” সংযুক্ত হইয়া ২৭ পল হিজুল বা রসসিন্দুর উৎপাদন করে। সুতরাং যদি তুল্য ভাগ অর্থাৎ ২৫ ভাগ পারদ ২৫ ভাগ গন্ধক মর্দন করিয়া কজ্জলী প্রস্তুত করা খায় তবে ২৩ ভাগ গন্ধক অযুক্ত (uncombined । অবস্থায় থাকে। কলীর কৃষ্ণয়ের সহিত হরিদ্রাভ গন্ধকরে, হইতে পৃথক করা কঠিন হইয়া পড়ে। যেমন কয়লা ও গন্ধক একত্র মাড়িলে কৃষ্ণবর্ণ গুড়া হয়, অথচ অণুবীক্ষণ যন্ত্র দ্বারা পরীক্ষা করিলে স্পষ্ট দেখা যায় যে কয়লার কাল কণিকাগুলি হরিদ্রাভ : গকের কণিকার পাশাপাশি রহিয়াছে। সর্বাগ্রে কড্ডলীর অমুক্ত