চতুর্থ অধ্যায়। জোসেফ ব্লাক ও ক্ষার। হিন্দু দার্শনিকগণের মতে যাবতীয় স্থাবর ও জঙ্গম পদার্থ পঞ্চ ভূতাত্মক। দেহ নশ্বর অর্থাৎ অনিত্য। ইহা ভস্মীভূত হইলে যে অংশটুকু বায়ু ( মরুৎ ) হইতে উৎপন্ন তাহা বায়ুসাৎ হয় যাহা জল হইতে সস্তুত তাহা জলে পুনরায় মিশিয়া যায়; যাহা মৃত্তিকা (ক্ষিতি ) হইতে গঠিত তাহা মার্টি হইয়া যায় ইত্যাদি। সাদৃশ্যমূলক অনুমান হইতে প্রাচীনেরা ভাবিতেন যে, যেমন দেহ ভস্ম হইয়া গেলে কেবল মৃত্তিকার ভাগ (অস্থিভস্ম) পড়ি। গাকে, আর আর সমস্ত উপকরণ অন্যান্য ভূতের সহিত মিলিয়া যায়, তেমনি শুষ্ক কাষ্ঠ ভন্ম হইলে ঐ প্রকার হয়, অর্থাৎ কেবল ভস্ম বা ছাই অবশিষ্ট থাকে। গাছ পালা। পােড়াইলে যে ছাই ( বৃক্ষক্ষার) পড়িয়া থাকে তাহাও “মাটির” সামিল গণ্য হয়। অতি পুরাকাল হইতে গাছ পালার ছাই বা বৃক্ষ ক্ষার (বিশেষত: কলার বাসনার ক্ষার) বস্ত্রাদি পরিষ্কার করিবার জন্য ব্যবহৃত হইয়া আসিতেছে। কিন্তু আর এক প্রকার ক্ষার আমাদের দেশে পাওয়া যায়। সাধা- রণতঃ ইহাকে সাজিমাটি বলে। চরক ও সুশ্রুতেও এই দুই প্রকার ক্ষারের উল্লেখ আছে, যথা যবক্ষার যবের শীষ বা শীষ পােড়াইলে যে ভষ্ম পাওয়া যায় তাহাই যবক্ষার নামে পরিচিত এবং সজ্জিকাক্ষার। সন্তা বিলাতী সাবানের উৎপাতে আর এখন কলার “সনার’ ছাই বাদি
পাতা:নব্য রাসায়নী বিদ্যা ও তাহার উৎপত্তি - প্রফুল্লচন্দ্র রায়.pdf/৫৪
অবয়ব
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
৪২
নব্য রাসায়নী বিদ্যা ও তাহার উৎপত্তি
৪২