পাতা:নব্য রাসায়নী বিদ্যা ও তাহার উৎপত্তি - প্রফুল্লচন্দ্র রায়.pdf/৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(do) সাহিত্য পরিষদে রাসায়নিক পরিভাষা” নামক প্রবন্ধ প্রকাশ করেন। তাহার সমালােচনায় অক্সাইড অব ক্লোরিন (oxide of chlorine ) এর অনুরূপ “দগ্ধহরিণ' শব্দ ব্যবহার হইয়াছে দেখিয়া বলিয়াছিলাম যে অনেক বিলাত ফেরত পাঠকের roast venisonএর কথা মনে পড়িয়া মুখে লালা সঞ্চার হইবে। যাহা হউক তীব্র সমালােচনা ও ব্যঙ্গ করা বড়ই সহজ। প্রণিধান করিয়া দেখা যাউক। এখন শিক্ষিত অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থী বা পরীক্ষোত্তীর্ণ ব্যক্তি মাত্রেই অজ কাল কিছু না কিছু বিজ্ঞান চর্চা করিয়া থাকেন। কিন্তু তাহারা সংখ্যায় বা কয়জন? প্রতি বৎসর এফ,এ ও বি,এ পরীক্ষার সংখ্যা দেখিয়া আমরা ভয় পাই। কিন্তু ভেবে দেখুন আট কোটী বাঙ্গালীর মধ্যে ৪৫ হাজার ছাত্র সমুদ্র শিশির বিন্দু তুল্য। অন্যদিক হইতে একটী উদাহরণ লওয়া যাক। স্বদেশীয় মহােদয়গণ পরিচালিত কয়েকখানি ইংরাজী সংবাদ পত্র আছে তাহার পাশাপাশি কয়েকখানি বাঙ্গালা সংবাদপত্রও এদেশে চলিতেছে। গড়পড়তা ধরিলে বােধ করি এমন দাড়াইবে যে ইংরাজী সংবাদ পত্র অপেক্ষা বাঙ্গালা খবরের কাগজের পাঠক সংখ্যা অনুন বিশগুণ। হতে পারে যে দুই একখানি সংবাদ পত্রে সকল সময়ে সুরুচিপূর্ণ পাঠোপযােগী প্রবন্ধ থাকে না। কিন্তু স্পর্ধার সহিত একথা বলা যাইতে পারে ইহাদের মধ্যে অধিকাংশ ক্ষেত্রে কেবল বঙ্গদেশ বা ভারতবর্ষের নয়, সমস্ত জগতের রাজনীতি, সমাজনীতি, ধৰ্ম্মনীতি, লৌকিক ব্যবহার প্রভৃতি নানাবিষয়ক জ্ঞানগর্ভ অবশ্য জ্ঞাতব্যবিষয় প্রকাশিত ও আলোচিত হয়। শ্রদ্ধেয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয় সম্প্রতি একটী সারগভ প্রবন্ধে বেশ বলিয়াছেন যে আমাদের মাত্মক সংস্কার জন্মিয়াছে যে “শিক্ষা সম্বন্ধে এই বুঝি যে “কোন মতে সাড়ে