পাতা:নব্য রাসায়নী বিদ্যা ও তাহার উৎপত্তি - প্রফুল্লচন্দ্র রায়.pdf/৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
৫২
নব্য রাসায়নী বিদ্যা ও তাহার উৎপত্তি
৫২

নব্য ৱসায়নী বিদ্যা ১৮০২ খৃষ্টাব্দে বফোডের সহিত এই সভার সম্বন্ধ বিচ্ছিন্ন হয়। তাহার পর হইতে, বৈজ্ঞানিক আবিক্রিয়া সকল কিরূপে মনুষ্যের ধন-- বৃদ্ধি, বা সুখবৃদ্ধির সহায় হইবে, মনুষাের কাজে লাগিবে, রয়াল ইনষ্টিটিউশন সে চিন্তা আর করেন না। এখন খাটি বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও জ্ঞানবিস্তার ইহার কাৰ্য। ডাক্তার গার্নেট ইহার প্রথম অধ্যাপক বা আচার্য নিযুক্ত হন। তাহার পর ডেী এই কার্যের ভার প্রাপ্ত হন। জগতের ইতিহাস আলােচনা করিলে অনেক সময় দেখিতে পাওয়া যায় যে, যখন কোন দেশে বা যুগে বিশেষ কোনও পরিবর্তনের প্রয়ো- জন হয়, তখন মঙ্গলময় বিধাত। যেন তাহার বিধান সংসিদ্ধ করিবার জন্য এক একজন মহাপুরুষ আনিয়া উপস্থিত করেন। রাষ্ট্রবিপ্লবে ধর্যজগতে, নৈতিক ও বৈজ্ঞানিক জগতে ইহার অনেক উদাহরণ পাওয়া যায়। গীতাকারােক্ত “সম্ভবামি যুগে যুগে বচন সকল জাতির মধ্যে ও সকল দেশে প্রযোজ্য। অবশ্য কথাগুলি বিষয়ভেদে ভিন্ন ভিন্ন প্রকারে বুঝিয়া লইতে হয়। নতুবা ধৰ্ম্মের, শিল্পে, সাহিত্যের, বিজ্ঞানের, নানাবিভাগে যুগপ্রবর্তকগণের প্রত্যেককেই অবতার বলিতে তাহা বলা আমাদের উদ্দেশ্য নহে। আমরা কেবল ইহাই বলিতে চাই, যখন যেমন লোকের প্রয়ােজন, সেইরূপ লােকের আবি- ভাব হয়। রয়াল ইনষ্টিটিউশনও এইরূপে স্থাপিত হইল, ডাক্তার গার্কেটের পর উপযুক্ত একজন রাসায়নিকের বিশেষ প্রয়ােজন হইল ; এমন সময় বিধাতা যেন ডেবীকে হাতে করিয়া আনিয়া বলিলেন, “এই লও”। বাস্তবিক যাহারা নিজের পায়ের উপর দাড়াইতে চায়, ঈশ্বর তাহাদের সহায় হন। এখন ভারতে স্বগীয় তার প্রস্তাবিত