পাতা:নব্য রাসায়নী বিদ্যা ও তাহার উৎপত্তি - প্রফুল্লচন্দ্র রায়.pdf/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
৫৮
নব্য রাসায়নী বিদ্যা ও তাহার উৎপত্তি
৫৮

নব্য রসায়নী বিদ্যা অার করিলে অপরাপর উপাদান (বায়ু, জল ইত্যাদি) চলিয়া যায়, কেবল মৃত্তিকার অংশ পড়িয়া থাকে। আমাদের কবিরাজ মহাশয়ের আয়ু- ৰ্বেদ ও তন্ত্রোক্ত এই সমস্ত ধাতুভস্ম এখনও ঔষধার্থ ব্যবহার করিয়া থাকেন। গাছ পালা পোড়াইলে যে ছাই পড়িয়া তাকে (বৃক্ষার ), তাহাও মাটির সামিল গণ্য হয়। অতি পুরাকাল হইতেই এই গাছ পালার ছাই (বিশেষত কলার “বাসনা”) কাপড় পরিষ্কার করিবার জন্য ব্যবহৃত হইয়া আসিয়াছে। কিন্তু আর এক প্রকার ক্ষার আমা- দের দেশে পাওয়া যায়। সাধারণতঃ ইহা সাজিমাটি নামে পরিচিত। চরক ও সুতেও এই দুই ক্ষারের উল্লেখ আছে--যথা বৃক্ষ ক্ষার, প্রধা- নতঃ যবক্ষাব (৪র্থ : ৪২-৪৩ পৃঃ দ্রষ্টব্য) ও সর্জিকাঙ্গার । সস্তা বিলাতী সাবানের উৎপাতে কলার বাসনার ছাই এখন কাপড় পরিষ্কার করিবার জন্য ব্যবহৃত হয় না । কিন্তু যাহারা পাড়াগাঁয়ের লােক এবং ৪ । ৫০ বৎসর বয়স্ক তঁাহারা স্মরণ করিতে পারেন, দরিদ্র লােক এই দেশী “সাবা নই” ব্যবহার করিত এবং এই ক্ষারকে “তীব্র করিবার জন্য ইহার সহিত একটু চূণ মিশাইত। প্রাচীন হিন্দু ঋষিগণ জানিতেন যে, যক্ষার ও সর্জিকাক্ষার বিভিন্ন। কিন্তু ইউরােপে গ্রীক দার্শনিকগণ এই দুয়ের প্রভেদ বড় একটা বুঝিতেন না; গােলমাল করিয়া ফেলি- তেন। ডেবী স্বয়ং বলিতেছেন “The ancients do not seem , to have distinguished between the two alkalies", 1973 সময় অবধি ধারণা ছিল যে পূর্বোক্ত এই দুই কারাত্মক মৃত্তিকা (alkaline earths ) eller at conforme autor ata (elements ) কাবেণ্ডিস প্রথমত দেখান যে অম্লজান ও উজান মিশাইয়া তাহার মধ্যে তাড়িতস্ফুলিঙ্গ চালাইবামাত্র ভয়ানক আওয়াজ হয়—যেন