পাতা:নব্য রাসায়নী বিদ্যা ও তাহার উৎপত্তি - প্রফুল্লচন্দ্র রায়.pdf/৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
৬৫
নব্য রাসায়নী বিদ্যা ও তাহার উৎপত্তি
৬৫

ও তাহার উৎপত্তি। একখানি ফটোগ্রাফের কাচ কাল রঙ্গের কাগজে মুড়িয়া তাহার উপরে ইউনিয়মযুক্ত যৌগিক পদার্থ স্থাপিত করিয়া একটা অন্ধকার ঘরে রাখিয়া দেন। কিছু দিন পরে তিনি মােড়কটা খুলিয়া দেখেন যে কাচের উপরিস্থিত দানাগুলির ছবি কাচের উপর বেশ উঠিয়াছে।* এই সকল দেখিয়া বেকারেল তখন অনুমান করিয়াছিলেন যে ইউরা- নিয়ম হইতে নিষ্কাশিত রশ্মিগুলি রয়েন কর্তৃক আবিস্কৃত রশ্মির সহিত অভিন্ন। এই অনুমান এখন প্রমমূলক বলিয়া সপ্রমাণ হইয়াছে। সেই প্রমাণগুলির কথা ক্রমশঃ বলিতেছি। প্রমাণ যাহারা করেন তাহাদের সম্বন্ধে প্রথমে দুই এক কথা বলা আবশ্যক। মাদাম কুরী (কুমারী নাম মেরিস্কাদোবােস্কি) ১৮৬৭ অব্দে পােলণ্ড দেশে ওয়ার নগরে জন্মগ্রহণ করেন। পারিসের উপকণ্ঠস্থ বাসেলস নগরেব একটী মহিলা বিদ্যালয়ের ই ন এখন শিক্ষয়িত্রী। জন্মস্থান ওয়ানগর এবং পারিসে শিক্ষাসমাপন করিয়া ইনি বিজ্ঞানশান্ত্রের সর্বোচ্চ উপাধি লাভ করেন। সম্প্রতি যে অধ্যাপক কুরীর শােচনীয় মৃত্যুসংবাদ রয়টার আমাদিগকে তারযােগে জানাইয়াছেন, ইনি আট দশ বৎসর হইল তাহাকে বিবাহ করেন। মাদাম কুরী এবং তাহার স্বামী ১৮৯৮ অব্দে পিচব্লেণ্ড হইতে রাডিয়ম নামক মৌলিক পদার্থ আবিষ্কার করিয়া বৈজ্ঞানিক জগতে প্রসিদ্ধি লাভ করেন। মাদাম কুরীই প্রথমে এই অত্যাশ্চর্য আবিষ্কারের সূচনা করেন। কলিকাতার গ্যাসের আলাের উপর আজ কাল যে তারে আবরণ দেখা যায়, তাহাতে থােরিয়ম নামে একটা radioactive বা সক্রিয় পদার্থ আছে। যদি অন্ধকার ঘরে কাগজে নােড়। ফটোগ্রাফিক কাচের উপর এই তারের আবরণ যায় তাহা হইলে দুই তিন দিনের ভিতর বেশছৰি উঠে।