পাতা:নব্য রাসায়নী বিদ্যা ও তাহার উৎপত্তি - প্রফুল্লচন্দ্র রায়.pdf/৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
৬৮
নব্য রাসায়নী বিদ্যা ও তাহার উৎপত্তি
৬৮

নব্য সায়নী বিদ্যা র্যাডিয়ম যে তাপরশ্মি ও বৈদ্যুতিক কণা বিকিরণ করে তাহা পূর্বেই উল্লিখিত হইয়াছে। বি র্যাডিয়ম মনুষ্য-চৰ্ম্মের নিকট রাখিলে সেই খানে ক্ষত হয়। শুনা যাইতেছে দুঃসাধ্য ক্যান্সার রােগ নাকি র্যাডিয়ম রশ্মিদ্বারা আরাম হইতে পারে। র্যাডিয়ম তিন- প্রকার রশ্মি বিকিরণ করে। ইউরােপীয় পণ্ডিতের গ্রীক বর্ণমালা- মুসারে ইহাদের নাম আলফা, বিটা ও গামা রাখিয়াছেন। ইহা- দের মধ্যে আলফা রশ্মির অনুসকল যােগসংজ্ঞক-তড়িৎশালী এবং পরিমাণে প্রাঃ উজান বাস্পের পরমাণুর সমান। বিট। রশ্মি ১১ পৃষ্ঠে উক্ত বৈদ্যুতিক অণু হইতে অভিন্ন। এবং গামা রশ্মি রক্সেন-কিরণ-সদৃশ। প্রথমােক্ত দুইটা রশ্মি থাকার দরুণ অনেক পদার্থ র্যাডিযমের নিকট রাখিলে বিভিন্ন প্রকার বর্ণে রঞ্জিত হয় । প্রকৃত হীরক রাডিয়মের নিকট স্থাপন করিলে সবুজ বর্ণ ধারণ করে, কিন্তু কৃত্রিম হীরকের এপ্রকার শক্তি নাই। কৃত্রিম হীরক চিনিবার ইহা একটা উৎকৃষ্ট উপায়। গন্ধকের সহিত যশদের (zinc) একটা যৌগিক পদার্থ আছে। এই পদার্থটি একটা কাগজে লাগা- ইয়া র্যাডিয়ামের নিকট ধরিলে অসংখ্য জোনাকি বানর মতন ( scintillatious ) ratai অদ্ভুত পদার্থের অভিনবত্ব দুই এক কথায় সাঙ্গ করা যায় না। আত্মারাম সরকারের হাড়ের মত ইহা যাহা ইচ্ছা তাহাই করিতে পাবে। র্যাডিয়মের কোন যৌগিক পদার্থ জলে ভ্ৰৰ কৰিলে যে বায়ু নিষ্কাশিত হয়, অধ্যাপক রামসে দেখাইয়াছেন যে তাহার মধ্যে তঁাহার নব আবিষ্কৃত হিলিয়ম বায়ু বিদ্যমান আছে। হিলিয়ম বায়ু একটি মৌলিক পদার্থ, আমাদের বায়ুমণ্ডলের দশ লক্ষ ভাগে এক কি দুই ভাগ এইরূপ অনুপাতে বর্তমান। সূর্যের রশ্মি বিশ্লেষণ করিয়া