পাতা:নব্য রাসায়নী বিদ্যা ও তাহার উৎপত্তি - প্রফুল্লচন্দ্র রায়.pdf/৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
৬৯
নব্য রাসায়নী বিদ্যা ও তাহার উৎপত্তি
৬৯

ও তাহার উৎপত্তি। জ্যোতির্বিং লইয়ার সাহেব ইহার সূৰ্য্যে স্থিতি প্রথমে প্রমাণ করিয়া- ছিলেন বলিয়া ইহার নাম হিলিয়ম। হিলিয়ম যে একটি মৌলিক পদার্থ সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নাই। একটী মৌলিক পদার্থ যে আর একটা মৌলিক পদার্থে পরিণত হইতে পারে ইহাই তাহার প্রথম উদাহরণ। চাই কি, কিছুকাল পরে মধ্যযুগের রাসায়নিকদিগের স্বপ্ন সফল হইতে পারে; তাহা হইলে হীনধাতুদিগকে স্বর্ণে ও রৌপ্যে পরিণত কবা অসম্ভব হইবে না। এখন কথা হইতেছে যে, কোথা হইতে র্যাডিয়ম এইরূপ অদ্ভুতশক্তি সকল বিকিরণ করিতেছে । বৈজ্ঞানিকগণ পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে অনুসন্ধান করিয়া স্থির করিয়াছেন যে, র্যাডিয়ম স্বীয় পরমাণুস্থ আবদ্ধ শক্তি এইরূপে বিকিরণ করিতেছে। এইরূপ বিকিরণশক্তি থাে‘রয়ম ও ইউনিয়ম নামক গুরুভার পরমাণুবিশিষ্ট পদার্থদয়ে বিদ্যমান আছে। পরমাণু সকল যে আরও ক্ষুদ্রতর বৈদ্যুতিক অণুবিশিষ্ট তাহা প্রায় সর্বসাধারণে আজ কাল স্বীকার করেন। র্যাডিয়মের পরমাণু পরিমাণে উজানের পরমাণু অপেক্ষা ২২৫ গুণ উদজানের পরমাণু প্রায় এক হাজার বৈদ্যুতিক অণুর সমষ্টি । করিলে দেখা যায় যে বাডিৱম পরমাণুতে প্রায় দুই লক্ষ বৈদ্যুতিক অণু বিদ্যমান। অল্প স্থানের ভিতর এতগুলি কণা থাকিতে না পারিয়া চারিদিকে ছিটকাইয়া পড়ে এই অনুমান সঙ্গত বলিয়া বােধ হয় । অবশ্য ইহা ও স্বীকার করিতে হইবে যে অন্য মৌলিক পদার্থের পরমাণুগুলি এইরূপ বৈদ্যুতিক অণু দ্বারা গঠিত। কেন সক্রিয় হয় না তাহা আজও পর্যন্ত কেহ ঠিক করিয়া বলিতে পারেন নাই। বৈজ্ঞানিকেরা জলে, স্থলে, পাহাড়ে, পৰ্বতে, বায়ুমণ্ডলে ও বায়ু এবং কিন্তু তাহায়