পাতা:নব্য রাসায়নী বিদ্যা ও তাহার উৎপত্তি - প্রফুল্লচন্দ্র রায়.pdf/৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
৭২
নব্য রাসায়নী বিদ্যা ও তাহার উৎপত্তি
৭২

সপ্তম অধ্যায়। জ্ঞানােন্নতি ও ভারতের অধঃপতন। আমরা ইতিপূর্বে বলিয়াছি যে চিরপ্রচলিত সংস্কার মানব-হৃদয়ে এরূপ প্রবল আধিপত্য বিস্তার করিয়া থাকে যে কোনরূপ নূতন স্বাধীন চিন্তা সহজে উার মধ্যে স্ফুর্তি পায় না। বংশপরম্পরাগত সংস্কারে আবদ্ধ হইয়া মানবাত্মা একরূপ জড়বৎ হইয়া পড়ে। পুরাকালের খ্যাতনামা মনস্বিগণের বাক্যের উপর সাধারণ লােকের ভক্তি ও বিশ্বাস এমন বদ্ধমূল যে, সহজে কেহ তাহার প্রতিকুলে কাৰ্য্য করিতে সাহসী হয় না। শত সহস্র বৎসর পূর্বে যে সব ব্যবস্থা ও মত প্রচারিত হইয়াছিল, অদ্যাপি মন্ত্রমুগ্ধের ন্যায় সকলে তাহার অনুসরণ করিতেছে। অবশ্য মধ্যে মধ্যে কোন কোন স্বাধীনচেতা মহাত্মা ঐ সকল আদেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করিতে চেষ্টা কৰিলেও পুরাতন প্রতিপােষক ( গোড়া দিগের ভীষণ আন্দোলনে তাহাদের সেই ক্ষীণ প্রতিবাদ সমাজে প্রচারিত হইতে পায় নাই। সময়ে সময়ে জগতে এক এক জন মহাপুরুষের আবির্ভাব হয়। তাহারা অজ্ঞান-তিমিরে জন্মগ্রহণ করিয়াও স্বীয় অলােকামায় প্রতিভাবলে প্রকৃষ্ট পথ দেখিতে পান। পৃথিবী সৃষ্টির কেন্দ্রস্থল, আর চন্দ্ৰসূৰ্য্যাদি গ্রহমণ্ডল নিত্য ইহার চতুর্দিকে পরিভ্রমণ করিতেছে ইত্যাদি মত টলেমি ও পিথাগােরসের সময় হইতে ইউরোপে প্রচলিত ও স্বীকৃত হইয়া আসিতেছিল। কোপারনিকাস এই মতের প্রতি মতের