পাতা:নব্য রাসায়নী বিদ্যা ও তাহার উৎপত্তি - প্রফুল্লচন্দ্র রায়.pdf/৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
৭৮
নব্য রাসায়নী বিদ্যা ও তাহার উৎপত্তি
৭৮

ন্য রসায়নী বিদ্যা মহাত্মা নাগার্জন কর্তৃক এতদ্দেশে রসায়নীবিদ্যার যে প্রভূত উন্নতি সাধিত হইয়াছিল বিষয়ে সন্দেহ নাই। চক্রপাণি বলেন, তিনি যে লৌহ-রসায়ন ব্যবস্থা করিতেছেন তাহা নাগার্জন কর্তৃক প্রথম বিবৃত। রসেন্দ্রচিন্তামণিকার মতে তিনিই রাসায়নিক তির্য্যপাতন প্রক্রিয়ার ‘আবিষ্কা। প্রাচীন ভারতে কেবল যে দর্শন ও সাহিত্য উন্নতির পর কাছা প্রাপ্ত হইয়াছিল এমন নয়। আয়ুৰ্বেদ, জ্যোতিষ, গণিত ও রসায়ন শান্ত্রের বিশেষ আলোচনা হইয়াছিল। এখন প্রশ্ন হইতেছে--এ সমস্ত বিদ্যা কি প্রকারে লােপ পাইল ? কেহ কেহ বলেন, মুসলমান আধিপত্যে রাজগণ শ্ৰভ্ৰষ্ট ও বিধ্বস্ত হওয়াই ইহার প্রধান কারণ। কিন্তু তৎসাময়িক ইতিহাস-পাঠে এই যুক্তি সারগর্ভ বলিয়া বােধ হয় না। মুসলমানদিগের আর্যাবর্ত জয়ের অনেক পূৰ্ব্ব হইতেই হিন্দুদিগের এই অনুসন্ধিৎসা বৃত্তির হ্রাস কইতে আরম্ভ হইয়া- ছিল। আর তাহাই যদ হইত, তবে পুর্বোক্ত সময় বিদ্যার আলাে চনা দাক্ষিণাত্যে আশ্রয় গ্রহণ করিত। কারণ ওথায় মুসলমান- আধিপতা কখনও স্থায়িরূপে প্রতিষ্ঠিত হয় নাই। মুনদিগের শাসনকালে বাঙ্গালা দেশে বিশেষতঃ নবদ্বীপ ও বিক্রমপুরে হিন্দুশাস্ত্রের যথেষ্ট চচ্চ। ছিল। এই উভয় স্থানই নবাবের রাজধানীর সন্নিকট ছিল। স্থূলভাবে বলতে গেলে, উপনিষদ রচনাকাল হইতে আরম্ভ করিয়া বৌদ্ধধর্মের প্রৌঢ়াবস্থা পর্যন্ত সময় মধ্যে হিন্দুর মস্তিষ্কচালনা বা মানসিক চিন্তার দ্বারা যাহা কিছু গৌরব করিবার বিষয় তাহা সাধিত হইয়াছিল। প্রত্নতত্ত্ববিগণ এই সময়কে অর্থাৎ খৃষ্টজন্মের ৬০০ বৎসর পূর্ব হইতে ৭০০ খৃঃ অব্দ পর্যন্ত ভারতের জ্ঞানেন্নতি বা স্বাধীন চিন্তার যুগ আখ্যা প্রদান করিয়াছেন। এই সময়ের মধ্যে পাণিনি