পাতা:নরওয়ে ভ্রমণ.pdf/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করার সময় সমস্যা ছিল।
১৬
নরওয়ে ভ্রমণ

নরওয়ে ভ্রমণ আজ প্রান্তে সাগর ছাড়িয়’ যে ফিয়ডে আসিয়া পড়িলাম, তাহার শোভা-সৌন্দর্য সম্পূর্ণ বিভিন্নরূপ। সার্ণ হওয়া দূরে থাকুক,—স্থানে স্থানে ইহার প্রশস্ততা এত অধিক যে, কোথাও আর কূলের সন্ধান পাওয়া যায় না; মধ্যে মধ্যে ছোট বড় অসংখ্য দ্বীপসমূহ সংস্থিত। এ স্থানটায় কর্ণধার, নিজ কর্ম্মকুশলতার পরিচয় দিতে দিতে, জাহাজখানাকে নিপিল লইয়া চলিয়াছেন। তিনি যখন প্রথিতযশ, তখন আমাদের মিথ্যা ভয়-ভাবনা ত আর ভাল দেখায় না। তখন বুঝিলাম, হ ক,. “ফিয়’——পারে। কি মাহাত্ম নির্ভরতার! বুঝিলাম, ভক্তজন কেন দুর্দিনে-“হালে যখন আছেন হরি, তোর কিবা ফাগুন কিবা আষাঢ়” বলিয়া মনকে নির্ভীক নির্বিকার করিয়া রাখিতে সমর্থ হন। যখন এই ফিয়ডের শেষ-সীমায় আসিয়া পৌছিলাম, তখন বেলা দশটা। এইবার নোঙ্গর করা হইল। আজকার বিজ্ঞাপনীতে লেখা আছে যে, ‘চারিহাজার ফিট উচ্চ এক গ্নেসিয়ারের মধ্যে যাইতে হইবে, যাত্রিগণ যেন যথেষ্ট গরম কাপড় সঙ্গে লয়েন।