পাতা:নরওয়ে ভ্রমণ.pdf/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করার সময় সমস্যা ছিল।
নরওয়ে ভ্রমণ
৩৭

নরওয়ে ভ্রমণ। বার্তা জানে না, নিশ্চয়ই বড় সুখী। এমন সময় গাইডু বলিল, “আর বেশী দূরে গেলে দেরী হইয়া যাইবার সম্ভাবনা, অতএব প্রত্যাবর্তনে আমাদের সম্মতি আছে কি না? আমরা ফিরিয়া যাওয়াই ঠিক করাতে, কালবিলম্ব বিনা ভিন্নপথে ঘাটে আসিয়া পৌছিলাম। বাণী-হিসাবে বসিসের ব্যবস্থা হইলে, আমাদের পথপ্রদর্শকের আজ প্রচুর পরিমাণে পারিতোষিক পাওয়া উচিত। অনর্গল বাক্যব্যয়ে: হার্ভাঙ্গঙেফোর্ড, বেচারা যেন কিছু বেহালও হইয়াছিল। এমন স্থলে দস্তুর মত দিতে গেলে, দয়া-দাক্ষিণ্য বলে কিছু থাকে না, বাক্যের হিসাবটা না হয় এখন ছাড়িয়াই দিলাম। ইতি চিন্তায় কারুণ্য রসে কিঞ্চিৎ অভিভূত হইয়া, দানক্রিয়া সম্পন্ন করা গেল। সে ব্যক্তিও আশাতীত ফললাভে, হৃষ্টচিত্তে আমাদিগের ইষ্ট কামনা করিতে করিতে বিদায় লইয়া অদৃশ্য হইল। আমাদের ভাসমান গৃহে ফিরিয়া কিয়দ্র অগ্রসর হইতেই দেখি—আজ সরিৎপতির মেজাজ তত সরিফ নয়, বড় যেন উগ্রভাব। এতদিন ইহার সহিত বাস করিয়া এইটি বুঝিয়াছিলাম যে, এর স্বভাবটা একটু খামখেয়ালি গোছের। কিসে হাসেন, কিসে কাঁদেন,-কেন নাচেন, কেন গান,—কখন ঘুমান, কখন যে জাগেন—কিছুরই ঠিক নাই। হাঁ, মহানুভব মাত্রেরই, কিছু না কিছু বিশেষত্ব থাকেই। আমরা অল্পমতি, সে সমূদায়ের বিচার না করিলেই ভাল হয়। কিন্তু আমাদের চোখেও যদি ঐ সব মুহানের দুই একটা দোষ ত্রুটী পড়ে, তা কি বলিতে নাই? আমরা যখন দেখি যে, তিনি রত্নাকর হইয়াও, অতিথি-সৎকার জানেন না, তখন একেবারে চুপ করিয়া থাকিতে