পাতা:নরওয়ে ভ্রমণ.pdf/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করার সময় সমস্যা ছিল।
৩৮
নরওয়ে ভ্রমণ

নরওয়ে ভ্রমণ। পারি না। এই যে এত লোক তার সীমানা দিয়া দিনরাত আনাগোনা করিতেছে, কৈ কাকেও ত এক কণা দানা দেওয়া দূরে থাক, এক ছিটা নুন দিয়াও জিজ্ঞাসা করেন না! বরং উল্টাই করেন, যাত্রীরা যা কিছু সঙ্গে আনে, মাঝে মাঝে তৎসমুদয় লুটপাট করিয়া আত্মসাৎ করিবারই চেষ্টা বেশী। মণিমুক্তায় যাঁর ভাণ্ডার বোঝাই, তার এই পরহরণের প্রবৃত্তিতে, আমাদের দেশের ন্যায়শাস্ত্র সায় দিতে পারে কি? এমন কি সামান্য আহার্য্য-সামগ্রী পর্য্যন্ত লইয়া টানাটানি। এই এক দোষে একে অনেকেরই চোখে এমন বিষ করিয়া রাখিয়াছে, যে পারতপক্ষে আর তারা এর মুখদর্শন করিতে চায় না। সেই যে কথায় বলে “হাতে মারে না ত, ভাতে মারেন” সেই দশা। আজন্মকাল ধরিয়া তার এই নিষ্ঠুর লীলা চলিতেছে, আজ অবধি ইহার প্রতিকারের কোন লক্ষণই দেখা যায় না। আশ্চর্য! সমস্ত রাতই তার ডাক হা ঁচলিল।হল: ম:| দুই- যুক্ত “ম্যান্টয়া” জাহাজ প্রত্যুষে আচম্বিতে প্রিয়বয়স্য ফিয়ডের সাক্ষাৎ পাইয়া যেন সাপের মাথায় ধূনি পড়িল। জলযানের আরোহীদিগের অধিকাংশেরই ক্লিষ্ট মুখের কাতরভাব দেখিয়া, তিনি যেন জিজ্ঞাসা করিলেন “অনুগত জনে কেন কর এত প্রবঞ্চনা, (তুমি যখন) মারিলে মারিতে পার তখন রাখিতে কে করে মানা। আর মুখে কথাটি নাই। রাজোচিত ধর্ম প্রতিপালন করেন নাই বলিয়া সিন্ধুৱাজ